শেষ ষোলোয় স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে পেনাল্টি মিস করে কেঁদেছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। পরে টাইব্রেকারে জিতেছিল তার দল পর্তুগাল।
এবার কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে ম্যাচটিও গড়ালো টাইব্রেকারেই। আগেরবারের মতো এবারও প্রথম শটটি নিলেন রোনালদো নিজেই। সফলতাও পেলেন তিনি।
কিন্তু আগের ম্যাচে তিন সেভে পর্তুগালকে জেতানো গোলরক্ষক দিয়েগো কস্তা এবার পারলেন না। তার ওপর পোস্টে মেরে সর্বনাশের চূড়ান্ত করলেন তার সতীর্থ জোয়াও ফেলিক্স। হেরে যাওয়া দলটির নাম তাই পর্তুগাল। তবে এবার আর কাঁদলেন না রোনালদো। যদিও টাইব্রেকারে লক্ষ্যভেদ করে কাজটা এগিয়ে রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হতাশাই সঙ্গী হলো তার।
ম্যাচ শেষে অবিশ্বাসের ছাপ ছিল রোনালদোর চোখে-মুখে। এমন বিদায় হয়তো কল্পনা করেননি তিনি। ম্যাচ শেষে তাই মুখ ভার করে আনমনে হেঁটে বেরিয়ে গেলেন পর্তুগিজ ফুটবলের যুবরাজ। এটাই তার শেষ ইউরো। যেখান থেকে শূন্য হাতে ফিরতে হচ্ছে তাকে।
রোনালদোর হতাশার রাতে হেসেছেন, উল্লাসে মেতেছেন তারই একসময়ের ভক্ত কিলিয়ান এমবাপ্পে। যদিও ফরাসি তারকা নিজে পুরো ম্যাচে প্রায় নিষ্প্রভ ছিলেন। অতিরিক্ত সময়ে উঠেও যান ফরাসি উইঙ্গার। কিন্তু তা সত্ত্বেও তার দল ২০২৪ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে জিতে সেমিফাইনালে উঠেছে।
ম্যাচের নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত সময় মিলে মোট ১২০ মিনিট খেলেও কোনো দল গোল করতে পারেনি। শেষে টাইব্রেকারে ৫-৩ গোলে জয় পায় ফ্রান্স।
ম্যাচ শুরুর আগে সবার নজর ছিল শেষ ইউরো খেলতে নামা রোনালদো এবং ভাঙা নাক নিয়ে মাঠে নামা কিলিয়ান এমবাপ্পের ওপর। কিন্তু দুজনের কেউই আলো ছড়াতে পারেননি। মাস্ক পরে খেলতে নামা এমবাপ্পে তো অতিরিক্ত সময় শেষও করতে পারলেন না। অবশ্য এর আগেই মুখে হালকা আঘাত পেয়েছিলেন তিনি। যে কারণে খেলা শেষ করে আসতে পারেননি ২০১৮ বিশ্বকাপজয়ী ফরোয়ার্ড।
ম্যাচে দুই দলই গোল মিসের মহড়া চালিয়েছে যেন। তুলনামূলকভাবে মিসের পাল্লা ভারী পর্তুগালের। ব্রুনো ফার্নান্দেস ও ভিতিনহার দারুণ দুটি প্রচেষ্টা বিফল করে দেন ফরাসি গোলরক্ষক মাইক মাইগনান। অন্যদিকে ফ্রান্সের রঁদাল কলো মুয়ানির শট রুবেন দিয়াসের পা ছুঁয়ে অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এর কিছুক্ষণ পর এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গার কাছ থেকে নেওয়া শট দূরের পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।
গোলশূন্য দুই অর্ধ শেষে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। যেখানে প্রথমবারের মতো সুযোগ পান রোনালদো। সতীর্থের কাটব্যাকে বল পেয়ে কাছ থেকে শট নিয়েও বারের ওপর দিয়ে মারেন তিনি। এরপর আসলে বলার মতো কিছুই করতে পারছিল না দুই দলই।
টাইব্রেকারে প্রথম শটটি নেন রোনালদো নিজেই। অধিনায়ক হিসেবে প্রথম কাজটা সেরে বাকিদের সাফল্যের দিকে তাকিয়ে ছিলেন তিনি। কিন্তু ভাগ্যও শেষবেলায় সহায় হলো না রোনালদোর। তাকে হতাশ করলেন ফেলিক্স ও কস্তা।
এই জয়ের পর সেমিফাইনালে স্পেনের মুখোমুখি হবে ফ্রান্স। আরেক কোয়ার্টার ফাইনালে স্বাগতিক জার্মানিকে অতিরিক্ত সময়ের গোলে হারিয়েছে স্প্যানিশরা। আগামী মঙ্গলবার মিউনিখে হবে স্পেন-ফ্রান্স মহারণ।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।