ভিডিও

অভিমানে স্পেন অধিনায়ক আলভারোর অবসরের ইঙ্গিত 

প্রকাশিত: জুলাই ০৯, ২০২৪, ১০:৩৮ দুপুর
আপডেট: জুলাই ০৯, ২০২৪, ০৩:৫৩ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

স্পোর্টস ডেস্ক: ইউরোর এবারের আসরে দুর্দান্ত স্পেন দল। ইতোমধ্যেই পৌঁছে গেছে সেমিফাইনালে। স্বাগতিক জার্মানিকে বিদায় করা স্পেনকে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন অধিনায়ক আলভারো মোরাতা, ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে গোলের দেখাও পেয়েছিলেন তিনি। তবে আসরের মাঝপথেই নিজ দেশের সমর্থকদের নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন এই ফুটবলার।আজ ফাইনালের টিকিট নিশ্চিতের ম্যাচে ফ্রান্সের বিপক্ষে মাঠে নামবে স্প্যানিশরা। 

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘এল মুন্দো’ কে মোরাতা বলেন, ‘এটা হতে পারে (স্পেনের হয়ে শেষ টুর্নামেন্ট)। এটা এমন একটি সম্ভাবনা, যা নিয়ে আমি বেশি কিছু বলতে চাই না, তবে সম্ভাবনাটা আছে।’নিজ দেশের কিছু সমর্থকদের সঙ্গে সম্পর্কটা খুব একটা ভালো নয় মোরাতার। কদিন আগেও সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে অনুষ্ঠিত ব্রাজিলের বিপক্ষে ম্যাচে তাকে দুয়ো দিয়েছেন সমর্থকরা। এবারও ইউরো চলমান থাকা অবস্থায় তাকে নিয়ে হয়েছে সমালোচনা।কোয়ার্টার ফাইনালে স্বাগতিক জার্মানিকে বিদায় করার পর কেঁদেছিলেন মোরাতা। সেই ম্যাচে ৮০ মিনিটের সময় মোরাতাকে তুলে নিয়েছিলেন কোচ লুই দে লা ফুয়েন্তে। এদিকে ম্যাচ শেষে গুজব ছড়ায় যে, বদলি হওয়ার পর বেঞ্চে বসেই হলুদ কার্ড দেখেছিলেন তিনি। এ কারণেই কাঁদছিলেন বলে তাকে নিয়ে সমালোচনা করে স্পেনের সমর্থকরা।এসব কারণেই নিজের ক্ষত উগরে দিয়েছেন মোরাতা। তিনি বলেন, ‘স্পেনে বোধহয় আমার জন্য সুখী থাকাটা বড্ড কঠিন। স্পেনের বাইরে গেলে যে আমার দিন ভালো কাটে এটা নিয়ে কোনো সন্দেহই নেই। সবচেয়ে বড় কথা, বাইরে আমি সম্মান পাই। আর স্পেনে কারো জন্য বা কোনোকিছুর জন্যই মনে হয় মানুষের কোনো সম্মান নাই।’

হলুদ কার্ড দেখে কাঁদছিলেন এমন গুজব নিয়ে তিনি বলেন, ‘ওইদিন শুনলাম, লোকে বলাবলি করছে যে আমি নাকি সাইডলাইনে কাঁদছিলাম হলুদ কার্ড দেখার জন্য। এটা কী ধরনের আজগুবি কথা! আমি কেঁদেছি আনন্দে, কেঁদেছি অধিনায়ক হিসেবে দলকে সেমিফাইনালে তোলার আনন্দে। এসব কারণে আমি তো কখনও কারো সমালোচনা করতাম না! কিন্তু দেখুন আমাকে এসব সইতে হচ্ছে। ইউরো জেতার জন্য যদি আমি আমার হাত কেটে ফেলি তাও বোধহয় আমাকে কথা শুনতে হবে।’

তবে এমন অবস্থার মাঝেও ইউরো উপভোগ করছেন বলেই জানিয়েছেন মোরাতা। তিনি বলেন, ‘আমি এই টুর্নামেন্ট উপভোগ করছি, যেখানে জাতীয় দলের হয়ে শেষ ম্যাচও খেলতে পারি। তবে ভবিষ্যতে কী হবে, সেটা ভবিষ্যতের ব্যাপার। কে জানে, একদিন হয়তো তারা আমাকে মিস করবে। প্রতিদিনই বিদায়ের কাছাকাছি এগিয়ে যাচ্ছি। এ জন্যই উপভোগ করি, এ জন্যই কাঁদি এবং সামনে যা কিছুই আসুক না কেন, এ জন্যই কাঁদব। সেটা ভালোমন্দ যাই হোক।’



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS