স্পোর্টস ডেস্ক : শেষ হচ্ছে ২৪ দল নিয়ে প্রায় এক মাস ধরে চলতে থাকা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের মহারণ। পুরো আসরেই ছিল টানটান উত্তেজনা, মিশে ছিল নানান তর্কবিতর্ক। আজ রাতে স্পেন-ইংল্যান্ডের ফাইনাল ম্যাচ দিয়ে পর্দা নামবে টুর্নামেন্টের ১৭তম আসরের। এই ম্যাচ শুধু দুটি দেশের শিরোপা লড়াই নয়, এই ম্যাচে একাধিক খেলোয়াড়ের মধ্যেও দেখা যাবে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা। যুদ্ধ হবে হ্যারি কেইন বনাম রদ্রির, জুড বিলিংহ্যাম বনাম লামিন ইয়ামালের। পাশাপাশি লড়াই সাউথগেটের মস্তিকের সঙ্গে লুইস দে লা ফন্তের অভিজ্ঞতার। আজ রাত ১টায় অলিম্পিয়াস্টাডিয়ন বার্লিন স্টেডিয়ামে হবে এমন রোমাঞ্চকর লড়াই।
সর্বশেষ ১৯৬৬ বিশ্বকাপই একমাত্র শিরোপা ঘরে তোলা শিরোপা ইংল্যান্ডের। তার পর শুধু হাহাকার। বিদেশের মাটিতে এবার জিততে পারলে নতুন ইতিহাস রচনা করবে। ইংল্যান্ডের কোচ গ্যারেথ সাউথ গেটও চান ৫৮ বছরের সেই আক্ষেপের অবসান হতে। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে পারফরম্যান্সের বিকল্প দেখেন না তিনি, ‘আমি রূপকথায় বিশ্বাস করি না। কিন্তু স্বপ্নে বিশ্বাস করি। অবশ্যই আমাদের বড় স্বপ্ন আছে। কিন্তু সেটার বাস্তবায়ন করতে হলে লড়াই প্রয়োজন। এটা সম্ভব হলে অসাধারণ একটা গল্প হবে। কিন্তু সেটার জন্য পারফরম্যান্স প্রয়োজন।’ সাউথগেটের অধীনে ইউরোর সর্বশেষ আসরের ফাইনাল খেলার পাশাপাশি ২০১৮ বিশ্বকাপের সেমিতে খেলেছে ইংল্যান্ড। সর্বশেষ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালেও খেলেছে। নিজের অধীনে দলের উন্নতিতে খুব গর্বিত সাউথগেট। তাই বার বার স্বপ্ন ভঙ্গ হওয়ায় আজকের ফাইনাল নিয়েও খুব বেশি ভয় কাজ করছে না তার, ‘এই ম্যাচে কী হবে সেটা নিয়ে ভাবছি না। কারণ এসবের মধ্য দিয়ে আগেও গিয়েছি। আমিও চাই খেলোয়াড়রা সেই ভয়ডরহীন বোধটা অনুভব করুক। আমরা হারতে ভয় পাই না। আর এটাই জয়ের সেরা সুযোগ করে দিচ্ছে আমাদের।’
অপরদিকে ইতিহাস গড়তে মুখিয়ে স্পেনও। ১২ বছর পর টুর্নামেন্টের শিরোপা জয়ের সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইছে না কোনওভাবেই। স্পেন কোচ দে লা ফুয়েন্তে ম্যাচের আগে বলেছেন, ‘আমরা ইতিহাসের সূচনা করতে চাই। ফাইনালে আসার পথে আমরা সেই ইতিহাস এরই মধ্যে গড়েছি। আমি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতে বিশ্বাসী। কিন্তু তাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ দুটোই দেখা যাচ্ছে।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।