স্পোর্টস ডেস্ক : কোপা আমেরিকার শিরোপা জয়ের পর ফ্রান্সের ফুটবলারদের নিয়ে বর্ণবিদ্বেষী ভাষায় গান গেয়েছিলেন আর্জেন্টিনার মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেজ ও কয়েকজন সতীর্থ। শুধু তা-ই নয়, আর্জেন্টিনার ভাইস প্রেসিডেন্ট ভিক্তোরিয়া ভিয়ারুয়েল ফ্রান্সকে ‘ঔপনিবেশিক’ ও ‘দ্বিচারী’ রাষ্ট্র বলেছিলেন। এ ঘটনায় ফ্রান্স সরকারের কাছে ক্ষমা চেয়েছে আর্জেন্টিনা সরকার।
প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মিলেইয়ের দপ্তর জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইস প্রেসিডেন্ট ভিয়ারুয়েলের বিতর্কিত মন্তব্যের ব্যাপারে ব্যাখ্যা করতে একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে ফরাসি দূতাবাসে পাঠানো হয়েছিল। সেই কর্মকর্তা দূতাবাসকে জানান, ভিয়ারুয়েলের মন্তব্য ছিল একান্ত ব্যক্তিগত। কিলিয়ান এমবাপ্পে-উসমান দেম্বেলেদের অপমান করে ফার্নান্দেজের গান গাওয়া নিয়ে ফিফা ও তার ক্লাব চেলসি কদিন আগে তদন্ত শুরু করেছে। ১৫ জুলাই কলম্বিয়াকে হারিয়ে আর্জেন্টিনা কোপা আমেরিকায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর টিম বাসে দলীয় উদ্যাপনের লাইভ ভিডিও করার সময় গানটি গেয়েছিলেন ফার্নান্দেজ। ভিডিওটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে তিনি তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন। অবস্থা বেগতিক দেখে পোস্টটি মুছে ফেলে ক্ষমাও চেয়ে নেন ২৩ বছর বয়সী মিডফিল্ডার।
কিন্তু ফার্নান্দেজের বিরুদ্ধে ফিফা ও আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানায় ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশন (এফএফএফ)। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই আর্জেন্টিনার ভাইস প্রেসিডেন্ট ভিক্তোরিয়া ভিয়ারুয়েল এনজো ফার্নান্দেজকে সমর্থন জানিয়ে গত বুধবার এক্সে লেখেন, ‘স্টেডিয়ামে সমর্থকদের স্লোগান দেওয়া ও সত্যি বলার জন্য কোনো ঔপনিবেশিক দেশ আমাদের ভয় দেখাতে পারে না।
দ্বিচারী দেশের মেকি বিক্ষোভ অনেক সহ্য করেছি।’ ভিয়ারুয়েল এমন এক সময় ফরাসিদের নিয়ে এ ধরনের মন্তব্য করেছেন, যখন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মিলেই প্যারিস অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তবে ভিয়ারুয়েলের মন্তব্যে দুই দেশের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি হবে না বলেই মনে করে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্টের দপ্তর। এ ব্যাপারে প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র মানুয়েল আদোরনি বলেছেন, ‘ফ্রান্সের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক অটুট থাকবে।’
ফ্রান্স দলকে নিয়ে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড় ও সমর্থকেরা বর্ণবিদ্বেষী গান গাওয়ায় অধিনায়ক লিওনেল মেসি ও এএফএকে ক্ষমা চাইতে বলেছিলেন ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হুলিও গারো। এতে তাঁর চাকরি হারাতে হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।