টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকেই বল হাতে নির্বিষ সাকিব আল হাসান। এমনকি তার হাতে বল তুলে দিতে ভরসা পাচ্ছিলেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। যে কারণে বোলিং কোটাও পূরণ করতে পারেননি সাকিব।
এরপর যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ ক্রিকেট খেলতে গিয়েও বল হাতে অনুজ্জ্বল ছিলেন সাকিব। কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টিতেও প্রথম ম্যাচ ভালো হয়নি বাংলাদেশের সেরা এই অলরাউন্ডারের। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে নিজের জাত চেনালেন সাকিব। নেতৃত্ব দিয়ে বাংলা টাইগার্সকে উপহার দিয়েছেন চলতি আসরের প্রথম জয়।
এদিন ভ্যাঙ্কুবার নাইটসের বিপক্ষে ৪ ওভার বোলিং করে মাত্র ১০ রান খরচায় ৩ উইকেট শিকার করেছেন সাকিব। প্রথম ম্যাচের মতো এদিনও বল হাতে জ্বলে উঠেছেন বাংলাদেশের পেসার শরীফুল ইসলাম।
ইফতিখার আহমেদের হাফসেঞ্চুরিতে আগে ব্যাটিং করে ৭ উইকেটে ১৫২ রান করে বাংলা টাইগার্স। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৩০ রান তুলতে পারে ভ্যাঙ্কুবার।
গতকাল বল হাতে দারুণ পারফর্ম করলেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন সাকিব। ব্যাটিংও করতে এসেছিলেন নিচের দিকে, ৬ নম্বরে। সন্দীপ লামিচানের বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে মাত্র ২ রান করেছেন বাংলা টাইগার্সের এই অধিনায়ক।
বোলিং পর্বে সাকিব ভরসা রাখেন শরীফুল ইসলামের উপর। প্রথম ম্যাচের মতো এই ম্যাচে আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন শরীফুল। প্রথম ২ ওভারে মাত্র ২ রান দিয়ে ১ উইকেট তুলে নেন এই পেসার। আউট করেন আফগানিস্তানের মুনির আহমেদকে।
প্লাওয়ার প্লের শেষ ওভারে (ষষ্ঠ ওভার) বোলিংয়ে আসেন সাকিব। সে ওভারে মাত্র ১ রান খরচা করেন তিনি। পাননি উইকেট। অষ্টম ওভারে এসেই বাজিমাত করেন সাকিব। পর পর দুই বলে রেজা হেনড্রিকস ও আসিফ আলীকে আউট করেন তিনি।
প্রথম ২ ওভারে ৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নেওয়া সাকিব বিরতি দিয়ে ফের বল হাতে নেন ইনিংসের ১৪তম ওভারে। সে ওভারে উইকেট না পেলেও রান দেন মাত্র ৪। এরপর ইনিংসের ১৮তম ওভারে ২৯ রান করা প্রিটোরিয়াসকে ফিরিয়েই জয় অনেকটা নিশ্চিত করেন সাকিব।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।