স্পোর্টস ডেস্ক : মেয়েদের এশিয়া কাপের আগের আট আসরের সাতবারই শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে তারা। কেবলমাত্র একবার ২০১৮ সালে বাংলাদেশের কাছে শিরোপা খুঁইয়েছে। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কা পাঁচবার ফাইনাল খেলে শিরোপা ছুঁতে পারেনি একবারও।
শুক্রবার পাকিস্তানকে হারিয়ে ৬ষ্ঠবারের মতো ফাইনালে উঠেছে চামিরা আতাপাত্তুর দল। ভারতকে হারিয়ে লঙ্কানরা কী পারবে প্রথমবারের মতো এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে? ম্যাচটা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ৩টায়।
এশিয়া কাপের চলমান টুর্নামেন্টে সবচেয়ে ধারাবাহিক দল ভারত। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং তিন বিভাগে দারুণ পারফরম্যান্স করে ফাইনালে উঠেছে। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে সাত উইকেটে হারানোর পর আরব আমিরাতকে ৭৮ এবং নেপালকে ৮২ রানে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালের টিকিট কাটে তারা।
এরপর সেমিফাইনালে বাংলাদেশকে উড়িয়ে দিয়ে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে জিতে নবম আসরে নবমবারের মতো ফাইনালে উঠেছে। ভারতের টপ অর্ডারের ব্যাটিং বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখছে ম্যাচ জিততে। লঙ্কানদের বিপক্ষেও স্মৃতি মান্ধানা ও শেফালি ভার্মা ভালো শুরু পেলে আরও একটি শিরোপা জেতা কেবল সময়ের ব্যাপার।
যদিও চলতি টুর্নামেন্টে শ্রীলঙ্কাকেও পিছিয়ে রাখার কোনও সুযোগ নেই। ভারতের মতো তারাও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারানোর পর মালয়েশিয়াকে ১৪৪ রানে হারিয়েছে। পরের ম্যাচে থাইল্যান্ডের বিপক্ষেও ১০ উইকেটের বড় জয় পায় চামিরা আতাপাত্তুর দল।
এরপর পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ৩ উইকেটের রোমাঞ্চকর জয়ে ৬ষ্ঠবারের মতো ফাইনালের টিকিট কেটেছে। দলটির সাফল্যের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান অধিনায়ক চামিরার।
ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে আছেন লঙ্কান এই ব্যাটার। এক সেঞ্চুরি ও এক হাফ সেঞ্চুরিতে ২৪৩ রান করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক এখন তিনি। মালয়েশিয়ার বিপক্ষে দারুণ সেঞ্চুরির পর সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে হারাতে ৬৩ রানের কার্যকরী নিংস খেলেছেন।
আজ ভারতের বিপক্ষে চামিরা ভালো করতে পারলে এশিয়া কাপের শিরোপা খরা কাটানোর দারুণ সুযোগ থাকবে শ্রীলঙ্কার। তবে ভারতের এই দলকে হারাতে গেলে শ্রীলঙ্কাকে নিজেদের ছাপিয়ে যেতে হবে। ব্যাটিং-বোলিংয়ে দারুণ প্রভাব ফেলতে হবে।
ডাম্বুলর ২২ গজে সেটি করতে পারলে ইতিহাস রচনা করবে লঙ্কান মেয়েরা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।