স্পোর্টস ডেস্ক : সেই ১৯৮৪ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক ফুটবলের ফাইনালে স্বর্ণ জিতেছিল ফ্রান্স। আর এবার ঘরের মাঠের অলিম্পিকে ফ্রান্সের চোখ ছিল ৪০ বছর পর ফুটবলের স্বর্ণ ফিরিয়ে আনা। নকআউট পর্বে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালের প্রতিশোধ নেওয়ার পাশাপাশি অলিম্পিক ফুটবলের স্বর্ণ উদ্ধারের মিশনে ভালোভাবেই টিকে থাকে ফ্রান্স।
সেমিফাইনালে মিশরকে হারিয়ে স্বর্ণের মঞ্চে উঠেছিল অলিম্পিকের আয়োজকরা। কিন্তু তাদের স্বপ্ন ভেঙে ১৯৯২ সালে ঘরের মাঠে স্বর্ণ জয়ের ৩২ বছর পর দ্বিতীয়বার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরলো এবার ইউরো জেতা দলটি। গোলময় ফাইনালে ম্যাচটি নিজেদের করে নিলো স্পেন। শুক্রবার রাতে প্যারিসে গ্যালারি ভর্তি নিজেদের সমর্থকদের গর্জনের মধ্যে স্বর্ণজয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেও শেষ পর্যন্ত পারেনি ফ্রান্স। ৫-৩ গোলে স্বাগতিকদের হারিয়ে দিয়েছে স্পেন। নির্ধারিত সময়ের খেলা ৩-৩ গোলে শেষ হওয়ার পর অতিরিক্ত সময়ে দুটি ১০ গোল করে স্পেন হৃদয় ভেঙ্গে দেয় স্বাগতিক দর্শকদের।
মাত্র ১১ মিনিটেই লিড নিয়ে সমর্থকদের উল্লাসে ভাসিয়েছিল ফ্রান্স। গোল করেছিলেন এনজো। তবে সেই এগিয়ে থাকা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি থিয়েরি অঁরির দল, ১৮ মিনিটে ফারমিন লোপেজ ম্যাচে সমতা আনেন এবং ২৫ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন বার্সেলোনার এই মিডফিল্ডার। ২৮ মিনিটে বায়েনার গোল ব্যবধান বাড়িয়ে দেয় ইউরো চ্যাম্পিয়নদের। ৩-১ গোলে পিছিয়ে যাওয়া ফ্রান্স নাটকীয়ভাবে সমতায় ফিরেছিল ৭৯ মিনিটে মগনেস ও ইনজুরি সময়ে তৃতীয় মিনিটে মাতেতার পেনাল্টি গোলে। নাটকীয় ওই গোল ম্যাচ নিয়ে যায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। এই সময়ে স্পেন দুটি গোল করে ৫-৩ ব্যবধানে জিতে স্বর্ণ নিশ্চিত করে।
অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে জোড়া গোল করে ফুটবলের স্বর্ণ জয়ের নায়ক হয়ে যান সার্জিও কামেলো। ১০০ মিনিটে গোল করে স্পেনকে লিড এনে দেন এবং শেষ মুহূর্তে গোল করে ব্যবধান ৫-৩ করে জয় নিশ্চিত করেন। প্যারিস অলিম্পিক গেমসে এটি স্পেনের তৃতীয় স্বর্ণপদক।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।