স্পোর্টস ডেস্ক : পর্দা নেমেছে প্যারিস অলিম্পিকের। পদক তালিকায় বরাবরের মতোই শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র। গেমসের শেষদিনে নিজেদের অর্জন নিয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলেন প্যারিসের পদকজয়ীরা। কিন্তু সেই সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করা হয়নি মার্কিন জিমন্যাস্ট জর্ডান চিলেস। ফ্লোর এক্সারসাইজ ইভেন্টে তার জেতা ব্রোঞ্জ পদক কেড়ে নেয়া হয়েছে।
শেষ দিনে তাই একটি পদক হারাল আমেরিকা। জিমন্যাস্ট চিলেসকে ব্রোঞ্জ পদক ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ক্রীড়াক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদালত কোর্ট অফ আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টস বা ক্যাস। তারা জানিয়েছে, অলিম্পিকের মঞ্চে বিচারকদের ভুলে ব্রোঞ্জ দেওয়া হয়েছিল চিলেসকে। তা ফিরিয়ে দিতে হবে সিমোন বাইলসের সতীর্থকে। সেটি পাবেন রোমানিয়ার জিমন্যাস্ট আনা বারবোসু। একই রকমের ঘোষণা দিয়েছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক্স সংস্থাও (আইওসি)। মার্কিন জিমন্যাস্ট সংস্থার পক্ষ থেকে সুইস ট্রাইব্যুনালে আবেদনের কথা বলা হয়েছে। তবে সেখান থেকে ফলাফল আসার সম্ভাবনা কম।
অলিম্পিক্সে আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক্সের ব্যক্তিগত ফ্লোর এক্সারসাইজ ইভেন্টে ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন চিলেস। একই ইভেন্টে রুপো পান বাইলস। চিলেসের পারফরম্যান্স শেষ হওয়ার পরে পয়েন্ট নিয়ে খুশি হতে পারেননি কোচ সিসিল লান্ডি। তিনি বিচারকদের কাছে পুনরায় বিবেচনার আবেদন করেন। বিচারকেরা আবার মূল্যায়ন শেষে চিলেসকে অতিরিক্ত .১০০ পয়েন্ট দেন। ফলে চিলেসের স্কোর ১৩.৬৬৬ থেকে ১৩.৭৬৬ হয়ে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয় রোমানিয়ার জিমন্যাস্টিক্স সংস্থা। নিয়ম অনুযায়ী, স্কোর সামনে আসার এক মিনিটের মধ্যে আবেদন করতে হয়। রোমানিয়ার দাবি, আমেরিকার কোচ তার চার সেকেন্ড পরে আবেদন করেছেন। তাই এই আবেদন মেনে নেওয়া বিচারকদের উচিত হয়নি। তারা ক্যাস-এ আবেদন করে। ক্যাস জানায়, রোমানিয়াই ঠিক। প্রথম বার স্কোর প্রকাশ্যে আসার সময় রোমানিয়ার বারবোসু তৃতীয় স্থানে ছিলেন। তার স্কোর ছিল ১৩.৭০০। চতুর্থ স্থানেও রোমানিয়ার এক জিমন্যাস্ট ছিলেন। .১০০ পয়েন্ট বেড়ে যাওয়ায় দু’জনকেই টপকে পঞ্চম স্থান থেকে সরাসরি ব্রোঞ্জ পদকের স্থানে চলে আসেন চিলেস। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন করে সফল রোমানিয়া।
যদিও আমেরিকার জিমন্যাস্টিক্স সংস্থা জানিয়েছে, এই রায়ের বিরুদ্ধে সুইস ট্রাইব্যুনাল বা মানবাধিকার সংক্রান্ত ইউরোপীয় আদালতে আবেদন করা হবে। তবে ক্যাসের রায় খারিজ করা অসম্ভব বলেই জানা গিয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।