স্পোর্টস ডেস্ক : নেপালে অনুষ্ঠিত সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম তিন ম্যাচ খেলেছেন অধিনায়ক গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ। ভারতের বিপক্ষে চোখে আঘাত পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন তিনি। আর বদলি খেলতে নেমে আসিফ হয়ে উঠলেন টুর্নামেন্টের সেরা গোলরক্ষক।
বাংলাদেশকে সেমিফাইনাল থেকে ফাইনালে তুলেছেন, ভারতের বিপক্ষে টাইব্রেকিংয়ে দুটি শট ঠেকিয়ে নায়ক বনে গিয়েছিলেন আসিফ। তারপর ফাইনালে সেরা একদাশে ঢুকলেন। বাংলাদেশও চ্যাম্পিয়ন হলো। সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার পেয়ে গেলেন আসিফ। একেই বলে কপাল। হারিয়ে গেলেন শ্রাবণ। এই দুজনই এক রুমের সঙ্গী। আগেই জানিয়েছিলেন তিনি, জীবন দিয়ে দেবেন ফাইনালে। গোলপোস্টের নিচে আসিফ দারুণ পারফরম্যান্স করলেন। নেপাল কোনো সুযোগই পায়নি। ঐ একটা গোল ছাড়া। স্ট্রাইকার মিরাজুল চার গোল করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন। গতকাল ফাইনালে গোল করেছেন এবং গোল করিয়েছেন। আক্রমণভাগের এই ফুটবলার মিরাজুল ইসলাম গোল্ডেন বুট পুরস্কার পেয়ে বলেছেন, ‘আমাদের টার্গেট ছিল চ্যাম্পিয়ন হওয়া। ফাইনালে এত দর্শক, আমরা এটি উপভোগ করেছি। চাপ নিইনি। এ কারণে ভালো খেলতে পেরেছি।’
মিরাজুল দেশের কথা টেনে এনে বলেন, ‘দেশের অবস্থা ভালো না। যারা ছাত্র-জনতার আন্দোলনে জীবন দিয়েছেন, তাদেরকে আমরা শ্রদ্ধা করি। বন্যায় মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। হাজার হাজার পরিবারের ক্ষতি হয়েছে, তাদের পাশে যারা দাঁড়িয়েছেন, তাদের প্রতি রইল শ্রদ্ধা। আমরা সেসব শহীদকে স্মরণ করি, যাদের আত্মত্যাগে দেশ আজ নতুন স্বাধীনতা পেয়েছে।’
রাব্বি হোসেন রাহুলও একই কথা বলেছেন। তিনিও সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়ন ট্রফি শহিদদের জন্য উৎসর্গ করেছেন। রাহুল বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট মাসে বিভিন্ন মানুষ শহীদ হয়েছেন। তাদের জন্য আমাদের এই ট্রফি উৎসর্গ করছি।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।