স্পোর্টস ডেস্ক : বুন্দেসলিগায় শনিবার রাতে লাইপজিগের কাছে ৩-২ গোলে হেরেছে লেভারকুসেন। এই হারে জার্মান লিগে ৩৫ ম্যাচের অপরাজেয় যাত্রা থামলো লিগ লেভারকুসেনের।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট ছিল লেভারকুসেনের। তারই ধারাবাহিকতায় ম্যাচের ৩৮ মিনিটে দারুণ ফিনিশিংয়ে দলকে এগিয়ে দেন জেহেমি ফ্রিম্পং। তার ৭ মিনিট পর ব্যবধান বাড়ান আলেক্স গ্রিমাল্দো। পোস্টের কাছ থেকে বল জালে পাঠান এই ফুটবলার। বিরতির আগে যোগ করা সময়ের সপ্তম মিনিটে এক গোল শোধ করে লাইপজিগ। দ্বিতীয়ার্ধে ৫৭ মিনিটে কোনাকুনি শটে সমতা ফেরান লোইস ওপেন্ডা। ম্যাচের ৮০তম মিনিটে তার পা থেকেই আসে জয়সূচক গোলটি। বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক শটে দলকে এগিয়ে দেন বেলজিয়ামের এই ফরোয়ার্ড। সেখান থেকে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি লেভারকুসেন। শেষ পর্যন্ত ৩-২ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে লিগ চ্যাম্পিয়নরা।
বুন্দেসলিগায় ৪৬২ দিনের মধ্যে প্রথম ম্যাচ হারলো লেভারকুসেন। গত মৌসুমে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল দলটি। সবশেষ ২০২২-২৩ মৌসুমের শেষ দিনে বোখুমের কাছে হেরেছিল তারা। এই ম্যাচে জিততে পারলে অপরাজেয় পথচলায় হামবুর্গকে স্পর্শ করতে পারতো লেভারকুসেন। ১৯৮২-৮৩ মৌসুমে টানা ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত ছিল হামবুর্গ। পেপ গার্দিওলার বায়ার্ন মিউনিখ ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত অপরাজিত ছিল টানা ৫৩ ম্যাচ। গত মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ৫১ ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ড গড়া লেভারকুসেন বড় ব্যবধানে হেরে গিয়েছিল উয়েফা কাপের ফাইনালে আটালান্টার কাছে। এবার বুন্দেসলিগায় শুরুর দিকেই তারা হোঁচট খেলো।
লেভারকুসেন কোচ আলোন্সো বলেছেন, ‘এই ম্যাচ থেকে ইতিবাচক অনেক কিছু নিবো আমরা, নেতিবাচক কিছু থেকেও শিখবো। প্রথমার্ধে আমরা দারুণ খেলেছি এবং তা নিয়ে আমি খুশি। সেখান থেকে আমরা এগিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে একদমই নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারিনি এবং লাইপজিগকে অনেক জায়গা দিয়েছি। রক্ষণে আমরা ভালো করতে পারিনি। এসব ভুল থেকে আমরা শিখবো। ২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পরও প্রতিপক্ষকে এভাবে ম্যাচে ফিরতে দেওয়া ভালো কিছু নয়। মৌসুমের শুরু মাত্রই, আমরা শিখবো।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।