ভিডিও

সনদ জালিয়াতি : স্ত্রীকে নির্দোষ দাবি কারিগরির সাবেক চেয়ারম্যানের 

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৩, ২০২৪, ০৪:৫৮ দুপুর
আপডেট: এপ্রিল ২৩, ২০২৪, ০৭:৩৭ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সার্টিফিকেট জালিয়াতির ঘটনায় স্ত্রীসহ নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন বোর্ডের চেয়ারম্যান পদ থেকে থেকে সদ্য অব্যাহতি (ওএসডি) পাওয়া আলী আকবর খান।

আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে ডিবি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ দাবি করেন। এর আগে, সার্টিফিকেট জালিয়াতির ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে তলব করা হলে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তিনি ডিবি কার্যালয়ে আসেন। পরে প্রায় ৩ ঘণ্টা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার স্ত্রী কোনো ভুল করেছে কি না আমি জানি না। আমি তার বিষয়ে কিছুই জানি না। গোয়েন্দা সংস্থা তার কাছে কী তথ্য পেয়েছে সেটিও জানি না। আমি মনে করি বিনা অপরাধেই জেল খাটছে।

আলী আকবর বলেন, মিডিয়ায় একটি সংবাদ চলে আসছে এবং ডিবির কাছে তথ্য আছে, সেজন্য দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত। এক্ষেত্রে আমরা লজ্জিত ও দুঃখিত।

সার্টিফিকেট বাণিজ্যের বিষয়ে তিনি বলেন, গোয়েন্দা সংস্থা বের করেছে, এর বেশি কিছু জানি না। সার্টিফিকেটের কাগজ ওয়েবসাইটে পাইনি। ২০ লাখ টাকা ঘুষের বিষয় মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এটির তদন্ত চলছে।

আলী আকবর বলেন, এর আগে কয়েকবার সাংবাদিকরা অনেক তথ্য দিয়েছেন। কিন্তু সেগুলোর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই এতদিন কারও বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারিনি। বোর্ড প্রধান হিসেবে আমি দায় এড়াতে পারি না। আমার বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হয় তবে সবকিছু মাথা পেতে নেবো।

২০ এপ্রিল আলী আকবরের স্ত্রী শেহেলা পারভীনকে উত্তরা থেকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এছাড়া সনদ বাণিজ্য ও জালিয়াতির ঘটনায় সন্দেহের তালিকায় থাকা কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরে সংযুক্ত করা হয়েছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS