ভিডিও

স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জনে রিয়াজদের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না: আসিফ মাহমুদ

প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২৪, ১০:৪৩ দুপুর
আপডেট: আগস্ট ১৮, ২০২৪, ০৩:২২ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৪ আগস্ট রাজধানীর জিগাতলা এলাকায় গুলিবিদ্ধ রিয়াজ (২৩) মারা গেছেন। শনিবার (১৭ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) তার মৃত্যু হয়।

রিয়াজের মৃত্যুতে তাকে স্মরণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক এবং অন্তর্র্বতী সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।ফেসবুক পোস্টে আসিফ মাহমুদ লিখেন, ‘রিয়াজকে দেখতে গিয়েছিলাম ৩ দিন আগে। মাথায় বুলেট নিয়ে এতোদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে আজ (শনিবার) শাহাদাত বরণ করেছে রিয়াজ। ডাক্তাররা বলেছিলেন ওর আর বাঁচার সম্ভাবনা নেই।মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা, কিছু করতে না পারার আক্ষেপ আর অস্বস্তি নিয়ে ফিরে আসতে হয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জনে রিয়াজদের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না।’

রিয়াজ বরিশালের হিজলা উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের মাহমুদুল হকের ছেলে। তিনি মুলাদী সরকারি কলেজের ডিগ্রি ছাত্র ছিলেন। রিয়াজের বড়ভাই হাসান সাংবাদিকদের বলেন, রিয়াজ জিগাতলা এলাকায় বোনের বাসায় থাকতো। ঘটনার দিন ৪ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে বাসা থেকে বের হয়। এরপর জিগাতলা এলাকায় যাওয়া মাত্রই গুলিবিদ্ধ হয়। তাৎক্ষণিক গুরুতর আহতাবস্থায় প্রথমে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতাল নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে ভর্তি করা হয়। ঢাকা মেডিকেলে ওর মৃত্যু হয়।সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গত ১ জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে লাগাতার আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। ১৫ জুলাই শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরদিন ১৬ জুলাই সারা দেশে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। সেদিন অনেক স্থানে ছাত্রলীগ ও পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ হয়। রংপুরে লাঠিচার্জ ও গুলি করে পুলিশ। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। এছাড়া ঢাকায় দুইজন ও চট্টগ্রামে তিনজন নিহত হন। এরপর আন্দোলন আরও বেগবান হয়। গুলি, সংঘর্ষ ও সংঘাতে বাড়তে থাকে হতাহতের সংখ্যা।

হতাহতের ঘটনায় ৯ দফা দাবি জানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। কিন্তু সরকার তা মানেনি। এরপর ৩ আগস্ট সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে সরকার পতনের এক দফা ঘোষণা করে তারা। পরদিন ৪ আগস্ট কারফিউয়ের মধ্যে পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ ও সহিংসতায় ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এরপর ৫ আগস্ট ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সেদিন ছাত্র-জনতা কারফিউ ভঙ্গ করে রাস্তায় নেমে আসে। দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা ভারতে চলে যান। পতন হয় টানা সাড়ে ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS