ভিডিও

উত্তরাঞ্চলের অন্যতম শেরপুর মোকামেই বাড়ছে চালের দাম

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৪, ১১:১১ রাত
আপডেট: সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৪, ১১:১১ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : উত্তরাঞ্চলের অন্যতম চালের মোকাম বগুড়ার শেরপুর। কোনো কারণ ছাড়াই মোকামটিতে বেড়েছে চালের দাম। বিগত দুই সপ্তাহ’র ব্যবধানে প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) চালে দুইশ’ থেকে চারশ’ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে।

হঠাৎ ধানের কৃত্রিম সংকট ও দাম বেড়ে যাওয়া এবং বন্যায় ত্রাণের জন্য বিপুল পরিমাণ চালের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ধান-চালের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

তবে বাস্তব চিত্র ভিন্ন। এক শ্রেণির মুনাফাখোর ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট চালের মজুদ গড়ে চালের কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে দাম বাড়িয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় হাট-বাজারগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুই সপ্তাহ আগেও (৫০ কেজি) কাটারিভোগ চালের বস্তার দাম ছিলো তিন হাজার টাকা, যা এখন ২০০-৪০০ টাকা পর্যন্ত বেশিতে বিক্রি হচ্ছে।

একইভাবে বিআর-২৯ জাতের (৫০ কেজি) চালের বস্তা দুই হাজার ৩০০ থেকে দুই ৪০০ টাকা বিক্রি করা হলেও বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে আড়াই হাজার থেকে দুই ৬০০ টাকায়। বিআর-২৮ জাতের চাল দাম বেড়ে দুই ৮০০ টাকা থেকে দুই হাজার ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সব ধরনের চালের দামই বেড়ে গেছে। এজন্য ব্যবসায়ীরা দুষছেন অসাধু মিল মালিক ও সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের।

পাইকারি ব্যবসায়ী রবিউল ইসলামসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, সদ্য বোরো মৌসুম শেষ হয়েছে। তাই কোনো রকম ধান-চালের সংকট নেই, বরং পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। এছাড়া ধান-চালের সরবরাহও স্বাভাবিক। এরপরও বন্যা এবং ত্রাণের অজুহাতে চালের দাম বাড়ানো হয়েছে। তাদের অভিযোগ, অসাধু ব্যবসায়ীরা ধান-চাল মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে চালের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন।

স্থানীয় একটি ব্যবসায়ী সূত্র অভিযোগ করে বলেন, উত্তরাঞ্চলের অন্যতম চালের মোকাম শেরপুর উপজেলায় আটটি অটোমেটিক রাইচমিল, পাঁচ শতাধিক রাইচমিল ও বেশ কয়েকজন আড়ৎদার রয়েছেন। এসব মিল-কারখানার বেশিরভাগ ব্যবসায়ীর গুদামে হাজার হাজার বস্তা ধান-চাল মজুদ রয়েছে, কিন্তু তারা বিক্রি করছেন না।

আবার বিক্রি করলেও কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে বেশি দামে বিক্রি করছেন। এছাড়া বড় বড় কর্পোরেট কোম্পানি এসিআই, রূপচাঁদা, আকিজ, প্রাণ, স্বপ্নসহ এসব কোম্পানির প্রতিনিধিরা এই মোকাম থেকে পর্যাপ্ত চাল কিনে তাদের গোদামগুলোতে মজুদ করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তারা।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন শেরপুর চালকল মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল হামিদ। তার দাবি, হঠাৎ করেই ধানের মোকামগুলোতে ধানের সংকট দেখা দিয়েছে। তাই চাহিদা অনুযায়ী ধান সংগ্রহ করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা।

এমনকি বেশি দাম দিয়েই ধান কিনতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। ফলে চালের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। আর এই কারণেই চালের দাম একটু বেড়ে গেছে। এছাড়া আকস্মিক বন্যার কারণে ত্রাণের জন্য চালের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে দামও একটু বেড়েছে। এরপরও চাতাল ব্যবসায় লোকসান গুণতে হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS