ভিডিও

বগুড়ায় মামলা করতে এসে হামলার শিকার হিরো আলম, যা বললেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২৪, ০১:৩৫ দুপুর
আপডেট: সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২৪, ০১:০৫ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

কোর্ট রিপোর্টার : বগুড়ার আদালতে মামলা করতে এসে আদালতের বাহিরে হামলার শিকার হয়েছেন আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। 

আজ রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্ত্বরে তিনি এই হামলার শিকার হন। বিএনপি’র নেতাকর্মীরা তাকে মারধর করেছে দাবি করলেও প্রতক্ষ্যদর্শী ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা বলছেন, এটি হিরো আলমের সাজানো নাটক।

 জানা গেছে, গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন কাহালু-নন্দীগ্রাম সংসদীয় এলাকার এক ভোট কেন্দ্রে মারপিটের শিকার হন ওই নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিরো আলম। সেই অভিযোগ এনে তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, তৎকালীন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল, তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বগুড়া জেলা জাসদ’র সভাপতি সাবেক এমপি রেজাউল করিম তানসেন ও নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন রানা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল আলম জিন্নাসহ মোট ৩৯ জনের বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (নন্দীগ্রাম) আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত তার অভিযোগ গ্রহণ করে পিবিআই-কে তা তদন্তের নির্দেশ দেন। 


মামলা দায়ের করে আদালত কক্ষ থেকে বের হওয়ার পর ৫-৭ জনের একটি দল আদালত চত্ত্বরেই হিরো আলমের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তিনি সামান্য আহত হন। ভাইরাল হওয়া এক ভিডিও ফুটেজে তাকে কানে ধরতেও দেখা যায়। হামলার পর হিরো আলম আদলাত প্রাঙ্গণে উপস্থিত সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, তাকে বিএনপি’র লোকজন মারপিট করেছে। হামলাকারীরা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কটূক্তির যে অভিযোগ তুলেছেন তা সত্য নয় দাবি করেন তিনি। এসময় তিনি হামলাকারীদের ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের বিরুদ্ধেও মামলা করার কথাও জানান। 

এদিকে তাকে হামলার ঘটনা সাজানো নাটক বলছেন প্রতক্ষ্যদর্শীরা। তার ওপর হামলাকারীরা বিএনপি বা অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেউ নন দাবি করে জেলা বিএনপি নেতা হামলার প্রতক্ষ্যদর্শী এড. নাজমুল হুদা পপন বলেন, হিরো আলমের হামলার ঘটনায় বিএনপি বা এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেউ ছিল না। যেহেতু সে ইউটিউবার সে তার চ্যানেলের ভিউ বাড়ানোর জন্যই পরিকল্পিতভাবে এই হামলার ঘটনা সাজিয়েছে। তিনি আরও বলেন, তার কাজই হলো আওয়ামী লীগের লেজুরবৃত্তি ও দালালি করা। বিএনপি যেসব নির্বাচন বয়কট করেছে, হিরো আলম আওয়ামী লীগের সেসব নির্বাচনকে বৈধতা দেওয়ার জন্য তাদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে, সেই ক্ষোভ থেকেও তার ওপর হামলা হতে পারে।

বগুড়া বার’র সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি এড. আব্দুল বাছেদ বলেন, হিরো আলমকে বিএনপি’র কেউ হামলা করেনি। এই হামলার ভিডিও দেখে মনে হয় সে তার ইউটিউব চ্যানেলের ফ্লপ ব্যবসাকে চাঙ্গা করা বা কাটতি বাড়ানোর জন্য হামলার ঘটনাটি সাজিয়েছে। এটি তার সাজানো নাটক। তিনি আরও বলেন, হিরো আলমতো বিএনপি’র কারো বিরুদ্ধে মামলা করতে আসেনি, বিএনপি’র লোকজন কেন তাকে মারতে যাবে? সে তার ইনকাম বাড়ানোর জন্যই লোকজন নিয়ে এসে এটি করিয়েছে।    


 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS