ভিডিও

নাটোরের গুরুদাসপুরে গৃহবধূর মরদেহ ফেলে রেখে পালালো স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২৪, ০৫:৩২ বিকাল
আপডেট: সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২৪, ০৫:৩২ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি : নাটোরের গুরুদাসপুরে জয়নব বেগম (৩০) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের হরদোমা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে নাটোর মর্গে প্রেরণ করেছে। জয়নব বেগম পার্শ্ববর্তী সিংড়া উপজেলার মহিষমারি গ্রামের মো. জয়নাল শেখের মেয়ে। এ ঘটনায় নিহত জয়নব বেগমের বাবা জয়নাল শেখ বাদি হয়ে গুরুদাসপুর থানায় ৫ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। নিহত গৃহবধূর স্বামী সাদ্দাম হোসেন, দেবর, শ্বশুর-শাশুড়িসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।

জানা যায়, প্রায় দশ বছর পূর্বে হরদোমা গ্রামের মো. আজাদের ছেলে সাদ্দামের সাথে জয়নব বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের দশ বছরেও তাদের ঘরে কোন সন্তান নেই। বাড়িতে জয়নব বেগমের স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি, দেবরসহ পাঁচজন বসবাস করতেন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় স্বামী সাদ্দাম হোসেনের সাথে গৃহবধূ জয়নব বেগমের কথা কাটাকাটি হয়।

একপর্যায়ে স্বামীর ধাক্কায় মাটিতে পরে যান জয়নব বেগম। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এরপর শ্বশুরবাড়ির লোকজন মৃত গৃহবধূর মরদেহ বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায় সকলেই। দীর্ঘ সময় মরদেহ পরে ছিলো বাড়িতেই। বিকেলে প্রতিবেশীরা তাদের বাড়িতে গিয়ে গৃহবধূ জয়নবের মরদেহ মাটিতে পরে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়।

এদিকে গৃহবধূ জয়নব বেগমের বাবা জয়নাল শেখের দাবি তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। তার মেয়ের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তিনি মেয়ের হত্যাকারীদের বিচার চান।

এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. উজ্জল হোসেন বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে নাটোর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে কিভাবে মৃত্যু হয়েছে সেই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন হাতে পেলে বিস্তারিত জানা যাবে। পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS