ভিডিও

এখনও পরিবর্তন হয়নি সারিয়াকান্দির দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪, ১১:০৩ রাত
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪, ১১:০৩ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার সারিয়াকান্দির দু’টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতি এখনও পরিবর্তন হয়নি। আগের সভাপতির স্বাক্ষরেই উত্তোলিত হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা। জমা দেওয়া হয়নি প্রতিষ্ঠানের তথ্যও। বিষয়টি কীভাবে সম্ভব হয়েছে তা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

শেখ হাসিনার সরকারের পদত্যাগের পর গত ২০ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী দেশের সকল এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সব ম্যানেজিং ও এডহক কমিটি বাতিল করা হয়। বাতিল করে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতির দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রশাসকের ওপর।

দেশের সকল এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির সভাপতির স্বাক্ষরেই হয়ে থাকে। সে অনুযায়ী সারিয়াকান্দি উপজেলার সকল এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গত আগস্ট মাসের বেতন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদুর রহমানের স্বাক্ষরে উত্তোলিত হয়েছে।

কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার কর্ণিবাড়ী সিনিয়র ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা ও জোরগাছা ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীরা তাদের বেতন-ভাতাদি উত্তোলনের ক্ষেত্রে বর্তমান সভাপতি তৌহিদুর রহমানের কাছ থেকে স্বাক্ষর গ্রহণ করেননি। বরং তারা আগের সভাপতির স্বাক্ষরেই গত আগস্ট মাসের বেতন-ভাতাদি উত্তোলন করেছেন।

গত কয়েকদিন আগে উপজেলা প্রশাসন থেকে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তথ্য চাওয়া হয় কিন্তু এ দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনও কোনও তথ্যাদি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে প্রেরণ করেননি। তাই বিষয়টি নিয়ে উপজেলার অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলছে কঠোর সমালোচনা।

এ বিষয়ে কথা হলে জোরগাছা ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবু শাহীন বলেন, গত আগস্ট মাসের বেতন-ভাতাদি আমরা উত্তোলন করেছি। বেতন-ভাতাদি উত্তোলনের ক্ষেত্রে আগের সভাপতির স্বাক্ষর গ্রহণ করেছি। এ বিষয়ে তিনি কর্ণিবাড়ী মাদ্রাসার অধ্যক্ষের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন।

কর্ণিবাড়ী সিনিয়র ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আজাহার আলী বলেন, আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন না। আমরা ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন। ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাদের নামে এ বিষয়ে কোনও নির্দেশনা আসেনি। তাই আমরা ইউএনও এর স্বাক্ষর গ্রহণ না করে গভর্নিংবডির আগের সভাপতির স্বাক্ষর গ্রহণ করেছি। ইসলামি ও আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার্ড এর নির্দেশনায় এ কাজ করা হয়েছে।

ইসলামি ও আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার্ড কামরুল হাসানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, কামিল ও ফাজিল মাদ্রাসার ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র প্রযোজ্য নয়। এগুলো যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন তাই এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগের সভাপতি বলবৎ থাকবেন এবং তাদের স্বাক্ষরে বেতন-ভাতাদি উত্তোলন করা হবে।

সারিয়াকান্দি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সারোয়ার ইউসুফ জামান বলেন, উপজেলার সকল এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের স্বাক্ষরে বেতন-ভাতাদি উত্তোলন করেছেন। শুধুমাত্র দু’টি প্রতিষ্ঠান তারা আগের সভাপতির স্বাক্ষরে বেতন-ভাতাদি উত্তোলন করেছেন। বিষয়টি নিয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করা হবে।

সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রশাসক তৌহিদুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে সঠিক বিষয় জেনে উপযুক্ত তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS