ভিডিও

জয়পুরহাটের কালাইয়ে খাস জমি দখলমুক্ত করার দাবিতে গ্রামবাসীর মানববন্ধন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৪, ০৫:৩৬ বিকাল
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৪, ০৫:৩৬ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি : জয়পুরহাটে কালাই উপজেলার উলিপুর গ্রামে ৫০ শতাংশ সরকারি খাস জমি অবৈধ দখলদারের হাত থেকে দখলমুক্ত করার দাবিতে মানববন্ধন ও মহাসড়কে বিক্ষোভ করেছে গ্রামবাসী। আজ বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গ্রামবাসীরা কালাই উপজেলা চত্বরে মানববন্ধন শেষে জয়পুরহাট-বগুড়া মহাসড়কে বিক্ষোভ করেন। পরে তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারকলিপি দেন।  

জানা যায়, কালাই উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়নের উলিপুর গ্রামের মৃত দবির উদ্দিনের ছেলে গাজিউল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক ও গোলজার রহমান মিলে ইনখুর মৌজার ৪৩৩ নং আরএস মূলে সরকারি খাস/ দেবত্তোর ১৩০ শতাংশের মধ্যে ৫০ শতাংশ জমি নিজেদের দাবি করে দখলে রেখেছেন। এ নিয়ে আদালতে মামলা হলে পুরো জমি দেবত্তোর বলে রায় দেন।

তারপরও তারা ওই জমির প্রায় ৫০ শতাংশ নিজেদের দখলে রেখে বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। সরকারিভাবে তাদের নিষেধ করা হলেও তারা শুনেনি। বরং তারা জোর করে ওই জমি দখলে নিয়ে নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছেন।

মানববন্ধনে মাত্রাই ইউপির উলিপুর গ্রামের খাস ভূমি উদ্ধার কমিটির প্রধান সমন্বয়ক রেজওয়ান হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মাত্রাই ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ সদস্য জিয়াউর রহমান বাদশা, উলিপুর গ্রামের খাস ভূমি উদ্ধার কমিটির সদস্য সচিব আলী রেজা, যুব সমাজের সদস্য নাফিস ইকবালসহ অন্যরা।

এলাকার ইউপি সদস্য ও উলিপুর-ভেড়েন্ডি গ্রামের বাসিন্দা জিয়াউর রহমান বাদশা বলেন, তিন ভাই মিলে সরকারি খাস জায়গা জোরপূর্বক দখল করে আছে। জায়গা উদ্ধারের জন্য গ্রামের লোকজন মিলে আজ মানববন্ধন করেছে এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। দেখা যাক এখন কি হয়।

স্মারকলিপিতে স্বাক্ষরকারী ও উলিপুর গ্রামের বাসিন্দা রেজুওয়ান ইসলাম বলেন, দখলদার তিন ভাই এলাকায় ভূমিদস্যু বলে পরিচিত। তাদের নিকট থেকে ওই জায়গা উদ্ধার করে এলাকার যুব সমাজকে খেলাধুলায় মনোগী করে গড়ে তুলতে হবে। আজ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছি, তাতেও জমি উদ্ধার না হলে পরবর্তীতে যা যা করা দরকার তাই করা হবে। 

অভিযুক্ত গাজিউল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অঃ দাঃ) ইফতেকার রহমান স্মারকলিপি পাওয়ার বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, আসলে ওই জমি খাস নয়, দেবত্তোর। ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS