ভিডিও

গাইবান্ধার ঘাঘটের বুকে বালু ব্যবসায়ীদের দাপট, দুশ্চিন্তায় কৃষক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৪, ০৬:৪৯ বিকাল
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৪, ০৬:৪৯ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার বুক চিরে বয়ে পগছে ঘাঘট নদী। ইতোমধ্যে নদীর পপটে বসানো হয়েছে ড্রেজার মেশিন। পাইপ টেনে অবৈধভাবে তোলা হচ্ছে বালু। ফলে নদী ভাঙনে বিলীন হচ্ছে আবাদি জমি ও বসতবাড়ি। বালু ব্যবসায়ীদের খপ্পরে মানুষরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও প্রশাসনিক কোন ব্যবস্থা নেই বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

সম্প্রতি সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের ঘাঘট নদীর হামিন্দপুর নামকস্থানে স্থানে দেখা যায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব। সেখানে রাতে অবাধে তোলা হচ্ছে বালু। এতে নদী ভাঙনসহ কৃষি জমি বিলীন হওয়ার আশঙ্কায় কৃষকরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার ঘাঘট নদীর হামিন্দপুরসহ আরও বেশকিছু স্থানে মেশিন বসিয়ে নদী থেকে বালু বাণিজ্য করা হচ্ছে। বালু ব্যবসায়ীরা কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে নির্বিঘ্নে বালু উত্তোলন করছে। এর প্রভাবে নদীর ভাঙনে বাপ-দাদার বসতভিটা ও ফসলি জমি হারাচ্ছে স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানায়, ড্রেজার মেশিনের বিকট শব্দে অতিষ্ঠ নদীপাড়ের মানুষ। সেই সাথে বালু বহনে ব্যবহার হচ্ছে অবৈধ ট্রাক্টর। বেপরোয়া গতিতে ঘন ঘন এসব যানবাহন যাতায়াতে নষ্ট হচ্ছে রাস্তাঘাট। ধুলাবালিতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনাও।

হামিন্দপুরের আব্দুর রাজ্জাক সরকার (কোর্ট মিয়া) নামে এক কৃষক বলেন, হামিন্দপুরস্থ নলডাঙ্গা ব্রিজের উত্তর পাশে ঘাঘট নদীতে কামরুল ইসলাম ও বকুল চন্দ্র ড্রেজার মেশিন দিয়ে রাতে বালু উত্তোলন করছেন। এতে নদী ভাঙন শুরু হয়েছে এবং তার কয়েক বিঘা আবাদি জমি ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে।

এ বিষয়ে এসিল্যাণ্ডসহ থানা পুলিশে লিখিত অভিযোগ করা করা হলেও সেখানে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তৌহিদুল ইসলাম বারির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS