স্টাফ রিপোর্টার : আদালতে হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে প্রকাশ্যে দিনের বেলায় বগুড়া শহরের কামারগাড়ী এলাকায় নূর মোহাম্মদ (৩৫) নামে এক যুবককে রামদা দিয়ে এলোপাথারিভাবে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তার অবস্থা আশংকাজনক। এ ঘটনায় হামলাকারী সন্দেহে নূর মোহাম্মাদের বড় ভাই আব্দুল মজিদ (৪২)কে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে স্থানীয় লোকজন। স্থানীয় সূত্র জানায়, নূর মোহাম্মদ দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। তিনি বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার মারিয়া গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে। তবে তিনি দীর্ঘদিন বগুড়া শহরের জামিলনগর এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
আহত নূর মোহাম্মাদের ছেলে মেহেদি হাসান বলেন, তার বাবার সাথে তার চাচাদের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ সব ব্যাপারে বগুড়ার আদালতে মামলা বিচারাধীন। আজ মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আদালতে একটি মামলার হাজিরা দিয়ে রিকশাযোগে জামিলনগর ফেরার পথে কামারগাড়ী রেলঘুমটি এলাকায় তার ওপর হামলা চালিয়ে রামদা দিয়ে কোপানো হয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
মেহেদি হাসান আরও বলেন, তার বাবাসহ তিনজন রিকশায় ছিলেন, পিছন থেকে হত্যার জন্য তার বাবাকে রামদা দিয়ে এলোপাথারিভাবে কোপানো হয়েছে। এ হামলায় তার চাচা ও চাচাতো ভাইরা জড়িত বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ সময় উত্তেজিত জনতা ঘটনাস্থল থেকে হামলাকারী সন্দেহে তার বড় চাচা আব্দুল মজিদকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া স্টেডিয়াম ফাঁড়ির এসআই দুলাল হোসেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।