লালমনিরহাট প্রতিনিধি : হত্যা মামলা থেকে খালাস পেয়ে দীর্ঘ ১৩ বছর পর চাকরি ফিরে পেলেন স্কুল শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক হিরু। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে লালমনিরহাটের আদিতমারীতে আদর্শপাড়া এম এইচ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন তিনি।
জানা যায় ২০১১ সালের ১৮ নভেম্বরে মন্তাজ আলীর মেয়ে রুমি বেগমের প্রেমিক জলধর বর্মণ মুসলিম পরিচয় দিয়ে প্রেম করেন। রাতে রুমি বেগমের সঙ্গে অসামাজিক কার্যকলাপ করতে এসে মন্তাজ আলীর কাছে ধরা পড়েন জলধর বর্মণ। তার পরের দিন শুক্রবার সকালে মন্তাজ গলা কেটে খুন করেন জলধরকে। এ ঘটনায় আদিতমারী থানায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন জলধরের বাবা শ্রী প্রেমানন্দ।
এ মামলায় চলতি বছরের গত ৯ জুন ১৪ জনকে বেকসুর খালাস দেন আদালত। রায়ে ১ নম্বর আসামি মন্তাজ আলীর যাবজ্জীবন ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ মামলায় ওই এলাকার কয়েকজন শিক্ষক, ইউপি সদস্যকে আসামি করা হয়েছিল। যার মধ্যে প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক হিরু ও ছিলেন। আদালত তাকেও খালাস দেন।
মামলার আসামি হওয়ায় ৮৮ দিন জেলে থাকায় প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক হিরু ২০১২ সালে চাকুরী থেকে সামরিক বরখাস্ত হন। মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ায় পর এ বছরের চলতি মাসের ১৯ সেপ্টেম্বর তিনি পুনরায় ওই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে বহাল হন।
আদিতমারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার এ.কে.এম আজিজুল হক বলেন, হত্যা মামলার আসামি থাকায় ২০১২ সালে প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত হন আব্দুর রাজ্জাক হিরু। তার নামে আনিত অভিযোগ আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় পুনরায় তাকে তার পদে বহাল করা হয়েছে। তার ১৩ বছরের বকেয়া বেতন-ভাতা যেন তিনি পান সে ব্যবস্থা করা হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।