ভিডিও

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার এক গ্রামেই ক্ষুরা রোগে ১২টি গরুর মৃত্যু

খামারীরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪, ০৮:৩৮ রাত
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪, ০৯:৩৬ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বজলের খামার চন্দ্রখানাটারী গ্রামে খুরা রোগে আক্রান্ত হয়ে ১২টি গরু মারা গেছে। রোগটি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় ক্ষুদ্র প্রান্তিক গবাধি পশুর মালিকরা দুশ্চিন্তার মধ্যে জীবন যাপন করছেন। তবে প্রানি সম্পদ কর্মকর্তারা বলছেন ভাইরাস জনিত খুরা রোগের চিকিৎসা দেয়া হলে গরু মরা  যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।

জানা গেছে ফুলবাড়ী উপজেলার সদর ইউনিয়নের বজলেরখামার চন্দ্রখানাটারী গ্রামে খামারীদের গরু গুলোর মধ্যে প্রথমে জ্বর দেখা দেয় এরপর কাপানি শরু হয় এবং মুখ দিয়ে লালা পড়তে দেখা যায়। রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া কোন কাজে আসেনি গরুর মালিকদের।

এতে পর্যায়ক্রমে ওই গ্রামে গত ১৫ দিনে ১২টি গরু মারা যায়। বজলেরখামার পাড়ার নাজমা বেগমের ২টি গরু, জয়নাল আলীর ১টি গরু, মোবারাক আলীর ১টি লিয়াকত আলীর ১টি, টুনকু মিয়ার ১টি, রতন মিয়ার  ২টি, আশরাফুল আলমের ১টি, কুমার পাড়ার লিটন মিয়ার ১টি, সামাদ আলীর ১টি, বাবলু মিয়ার ১টি গরু মারা গেছে।

এদিকে পানিমাছকুটি গ্রামের ফরহাদ হোসেন টুকু জানান, অনেক চিকিৎসা দেয়ার পরেও পৌনে দুই লাখ টাকা মূল্যের ১টি গরু বাচানো সম্ভব হয়নি। সাথে থাকা বাকী গরু গুলো অবস্থা ভাল নেই। গরুর খামারী আটিয়াবাড়ীর  জাইদুল হক জানান যে ভাবে গরুর রোগ দেখা দিচ্ছে তাতে তিনিসহ গ্রামের অনেকেই গরু নিয়ে আতংকে রয়েছেন।

উপজেরা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আরিফুল রহমান কনক বলেন, বজলের খামার গ্রামে  খুরা রোগ আক্রান্ত হয়ে ৩/৪টি গরু মারা যাবার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, মূলত ওই গ্রামের একজন কৃষক বাজার থেকে ১টি গরু কিনে নিয়ে আসার পর এই রোগটি দেখা দেয়।

এতে ভাইরাসজনিত খুরা রোগটি ছড়িয়ে পড়ে। তিনি আরও বলেন, আতংক হওয়ার কিছু নেই। রোগাক্রান্ত গরুকে অন্য গরু থেকে আলাদা রাখাতে হবে। রোগ দেখা দিলে অফিসের সাথে যোগাযোগ রাখার জন্য গরুর মালিকদেরকে পরার্মাশ দেন তিনি।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS