ভিডিও

তীব্র তাপদাহে গঙ্গাচড়ায় আমন ধানে চিটা হচ্ছে

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪, ০৫:২১ বিকাল
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪, ০৫:২১ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি : রংপুরের গঙ্গাচড়ায় স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত হওয়ায় রোপা আমনসহ অন্যান্য ফসল এখন পুরোপুরি সেচ নির্ভর হয়ে পড়েছে। অপরিকল্পিত সেচযন্ত্র ব্যবহারের ফলে কৃষকদের বাড়তি খরচ গুণতে হচ্ছে। সেই সাথে ভূগর্ভস্থ পানির স্তরও নেমে যাচ্ছে।

খরায় চাষাবাদসহ জনজীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। উপজেলার তিস্তার চরাঞ্চলের কৃষকরা আলু, মিষ্টিকুমড়াসহ আগাম শীতকালীন শাকসবজি চাষের জন্য আগাম জাতের রোপা আমন ধান চাষ করে থাকেন। সেই ধানে এখন শীষ বের হচ্ছে। কিন্তু তীব্র তাপদাহের কারণে শীষ কালো হয়ে চিটা হয়ে যাচ্ছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে রংপুরে মাঝারি তাপপ্রবাহ চলছে। আগস্ট মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হওয়ার কথা ছিল ৩৭৮ মিলিমিটার। সেখানে হয়েছে ২৮৮ মিলিমিটার। সেপ্টেম্বরের ২০ দিনের মধ্যে বৃষ্টি হয়েছে ৬ দিনে ৮২ মিলিমিটার। যা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম। গতকাল রোববার রংপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, গঙ্গাচড়া উপজেলায় এ বছর ১৯ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। গঙ্গাচড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম বলেন, তাপমাত্রা বেশি হলে ধানে চিটা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কৃষকদের ধানক্ষেতে সেচের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট রংপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান বলেন, ধানের পরাগায়ন স্তরে তাপমাত্রা বেশি হলে চিটা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সাধারণত ২৫ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ধানের পরাগায়ন ভালো হয়।

সেখানে ঠিক সেই সময়ে রংপুরে ৩৭ থেকে ৩৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা বিরাজ করছে। রংপুর অফিসের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, আগস্ট এবং সেপ্টেম্বরের ২০ দিনে স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম বৃষ্টি হয়েছে। এ অঞ্চলে মাঝারি তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে। এমন অবস্থা আরও কয়েকদিন থাকতে পারে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS