ভিডিও

নীলফামারীর সৈয়দপুরে হোটেল রেস্তোরাঁগুলোতে নিম্নমানের খাবার তৈরি ও পরিবেশনের অভিযোগ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৪, ০৯:৩২ রাত
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৪, ০৯:৩২ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি : নীলফামারীর সৈয়দপুরে হোটেল রেস্তোরাঁগুলোতে অত্যন্ত অপরিস্কার, অপরিচ্ছন্ন ও নোংরা পরিবেশে নিম্নমানের উপকরণ সামগ্রী ব্যবহার করে খাবার তৈরি ও পরিবেশন করা হচ্ছে। আর এসব হোটেল রেস্তোরাঁর খাবার খেয়ে মানুষজন পেটের পীড়াসহ নানা রকম রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। নীলফামারীর বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুর।

উপজেলা এ শহরের অলিগলিতে গড়ে উঠেছে অসংখ্য হোটেল রেস্তোরাঁ। এসব হোটেল রেস্তোরাঁর মধ্যে আবার বেশ কয়েকটি অভিজাত শ্রেণিরও রয়েছে। সেসব হোটেল রেস্তোরাঁর নাম কিংবা খ্যাতি রয়েছে গোটা রংপুর বিভাগজুড়ে।

তবে শহরের এসব হোটেল রেস্তোরাঁগুলোতে খাবার তৈরির পরিবেশ অত্যন্ত নাজুক। অনেক হোটেল রেস্তোরাঁর রান্না করার মত পর্যাপ্ত পরিস্কার পরিচ্ছন্ন জায়গায় নেই। তারা মূলত পরিত্যক্ত জায়গা কিংবা হোটেল রেস্তোরাঁর পাশে থাকা ড্রেনের ওপর রান্না করে। শুধু রান্নার জায়গায় নয়, অনেক হোটেল রেস্তোরাঁয় খাবার তৈরির পর সেসব খাবার সংরক্ষণের জায়গারও সংকট রয়েছে।

অনেক হোটেল রেস্তোরাঁয় পচাবাসী খাবার বিক্রি করা হচ্ছে অহরহ। আগের দিনের রান্না করা খাবার ফ্রিজে রেখে দিয়ে পর দিন সে সব গরম করে পুনরায় গ্রাহকদের মাঝে পরিবেশন করা হচ্ছে। আর সেই সাথে খাবার তৈরিতে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করা হয়। একই তেল দিয়ে সপ্তাহ জুড়ে পিয়াজু, সিঙ্গারা, নিমকি, সমুচা, পরাটা, পুরি প্রভৃতি ভাজা হচ্ছে। অনেক সময় আবার আগের তেলের সাথে নতুনভাবে কিছু তেল সংযুক্ত করে এসব খাবার ভাজা হচ্ছে।

এসব দেখভালের দায়িত্বে নিয়োজিত সংস্থাগুলোর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তাদের লোকবল ও নিজস্ব বাহন (ভেহিকেল) কম। তাই ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও নিয়মিত এ সব তদারকি করা সম্ভব হয়ে উঠছে না। তবে মাঝে মধ্যে হোটেল রেস্তোরাঁগুলো অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা আদায় করে থাকে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো।

এদিকে, গতকাল মঙ্গলবার নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের একটি ভ্রাম্যমাণ ল্যাব পরীক্ষাগার সৈয়দপুর শহরের বেশ কয়েকটি হোটেল রেস্তোরাঁ, কাঁচাবাজারে তাৎক্ষণিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালায়। এসময় ভ্রাম্যমাণ ল্যাব পরীক্ষাগারে ওয়েল টেস্ট কিট ব্যবহার করে হোটেল রেস্তোরাঁগুলো ব্যবহৃত তেল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।

এসময় শহরের শহিদ তুলশীরাম সড়কের (দিনাজপুর রোড) নাটোর দই ঘর নামক একটি মিষ্টির দোকানে পুরাতন তেল দিয়ে নিমকি ভাজা হচ্ছিল। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ভ্রাম্যমাণ ল্যাব পরীক্ষাগারের ওই তেল নিয়ে ওয়েল টেস্ট কিট ব্যবহার করে তাৎক্ষণিক পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে দেখা যায়, সেখানে নিমকি ভাঁজার কাজে ব্যবহৃত সংগৃহিত তেল পরীক্ষায় লিমিট তিন থাকার কথা সেখানে লিমিট পাঁচ পাওয়া গেছে।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ভ্রাম্যমাণ ল্যাব পরীক্ষাগারের ল্যাব টেকনিশিয়ান মো. মমিদুল ইসলাম জানান, এসব তেল বিষ হয়ে গেছে। এসব তেল কোনক্রমে খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা উচিত নয়। এসব তেলে তৈরি খাবার খেলে মানুষ পেটের পীড়াসহ নানা রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে পড়বেন।

এসময় সৈয়দপুর উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো. আলতাফ হোসেন সরকার, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের ভ্রাম্যমাণ ল্যাব পরীক্ষাগারের ল্যাব এসিসট্যান্ট মাহমুদুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS