সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি : স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও সোনাতলার সাতবেকী-মোনারপটল গ্রামীণ সড়কটি কার্পেটিং হয়নি। তবে রাস্তাটি কার্পেটিং করণে প্রতিশ্রুতি মিলেছে একাধিকবার। ওই সড়কে শুষ্ক মৌসুমে কোন রকমে চলাচল করা গেলেও বর্ষা মৌসুমে ওই এলাকার ১৪-১৫টি গ্রামের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার বাঙ্গালি ও যমুনা নদীর মধ্যবর্তী সাতবেকী-মোনারপটল এলাকা। ওই এলাকার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি কার্পেটিং এর দাবি দীর্ঘদিনের। হরিখালী থেকে সাতবেকী ভায়া মোনারপটল সড়কে প্রতিনিয়ত মধুপুর, পাকুল্লা ও তেকানী চুকাইনগর ইউনিয়নের ১৪-১৫টি গ্রামের অর্ধ লক্ষাধিক লোক প্রতিনিয়ত ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন।

এছাড়াও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী’সহ সকল পেশা ও শ্রেণির লোকজন যাতায়াত করে। শুষ্ক মৌসুমে কোন রকমে যাতায়াত করা গেলেও বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতে পুরো সড়কটি কর্দমাক্ত হয়ে যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এমনকি বৃষ্টির পানিতে কোথাও কোথাও খানা-খন্দকের সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে পায়ে হেঁটে কোন রকমে চলাচল করা গেলেও যাত্রীবাহী কোন পরিবহন চলাচল করতে পারে না ওই সড়কে।

স্বাধীনতার পর বিগত কয়েকটি সরকারের আমলে ঘনবসতিপূর্ণ ওই এলাকার একমাত্র চলাচলের পথটি পাকা করণে স্থানীয় নেতা-কর্মি, এমপি ও মন্ত্রীরা প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। ওই ইউনিয়নের একাধিক সড়কে রোড লাইট স্থাপন করা হলেও ওই সড়কে একটিও রোড লাইট নেই। ফলে সন্ধ্যার পর ভূতুড়ে পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

যার ফলে ছিনতাইকারীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয় পুরো সড়কটি। মাঝে মধ্যেই পথচারীদের ছিনতাইকারীর কবলে পড়তে হয়। এ বিষয়ে ওই ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জুলফিকার রহমান শান্ত বলেন, রাস্তাটি কার্পেটিং করতে প্রয়াত সংসদ সদস্য ডা. হাবিবুর রহমান, আব্দুল মান্নান ও সাহাদারা মান্নান প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে নানা জটিলতার কারণে সড়কটি কার্পেটিং করা সম্ভব হয়নি।

জটিলতার মধ্যে ছিল রাস্তার দু’পাশে বসতবাড়ি, পুকুর ভরাটকরণ, জমি-জমার সীমানা নিয়ে জটিলতা।  উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মাহবুবুল হক বলেন, সড়কটি এলজিইডি’র। সড়কটির দৈর্ঘ্য মাত্র আড়াই কিলোমিটার। সড়কটি বহুবার প্রশস্তকরণ ও কার্পেটিং করণের উদ্যোগ নিয়েও করা সম্ভব হয়নি।

কারণ হিসেবে তিনি জানান, সড়কটির দু’পাশে ঘনবসতি। সড়কের উপর স্থাপনা নির্মাণসহ সরকারি রাস্তা দখল করে ঘরবাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। যা অপসারণ না করায় দীর্ঘদিনেও সড়কটির উন্নয়ন করা সম্ভব হচ্ছে না।

তবে ইতোমধ্যেই ওই সড়কের উত্তর পার্শ্বে ৭শ’ মিটার সড়ক কার্পেটিং-এর কাজ শুরু করা হয়েছে। যা পর্যায়ক্রমে মোনারপটল ও পশ্চিম পদ্মপাড়া পর্যন্ত প্রশস্ত হবে। এই সড়কটি কার্পেটিং করা হলে ওই এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি শেষ হবে।