ভিডিও

দিনাজপুরের খানসামায় জমে উঠেছে মাছ ধরার উপকরণ বিক্রির হাট

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৪, ০৭:৪৪ বিকাল
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৪, ০৭:৪৪ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : বর্ষা মৌসুমে পানি বাড়ার সাথে সাথে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় মাছ ধরার উপকরণ বিক্রি বেড়েছে। এসময় দেশীয় বাঁশ-বেত দিয়ে মাছ ধরার ফাঁদ তৈরির কারিগররা এবং বাড়ির মহিলারা অবসরে এসব উপকরণ তৈরি করে বাড়তি অর্থ আয় করছে।

এলাকাভিক্তিক এসব দেশীয় উপকরণের নাম- ভোরং, পলাই, ঢাংগি, ডাড়কি টইয়া, ডিড়ই, বানা, হেঙ্গা ও খোলসুন ইত্যাদি। পেশাদার ও মৌসুমী জেলেরা এসব দিয়ে মাছ ধরে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাজার বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে নদী, নালা ও পুকুর-ডোবার মাছ ভেসে গেছে। এসব মাছ ছড়িয়ে পড়েছে জমিতে। এ সুযোগে লোকজন মাছ ধরার উৎসবে মেতে উঠেছে। পানির মধ্যে মাছ ধরার জন্য এসব ফাঁদ রেখে দেওয়া হয়।

বর্ষা মৌসুমে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হচ্ছে বাঁশের তৈরি ভোরং নামের একটি যন্ত্র। এলাকাভেদে এই যন্ত্রটিকে খোলসুন বলা হয়। আর বই-পুস্তকের ভাষায় বিটে বলা হয়। পানির মধ্যে এই যন্ত্রটি রেখে দেওয়া হয়। চলাচলের সময় ছোট ছোট মাছগুলো বাঁশের তৈরি এই ফাঁদের ভিতরে আটকা পড়ে। এটি গ্রামাঞ্চলের মাছ ধরার জনপ্রিয় একটি মাধ্যম।

সরেজমিনে আজ শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার প্রধান হাট পাকেরহাটে দেখা যায়, মাছ ধরার কয়েক প্রকার এসব উপকরণ নিয়ে বসে আছে কারিগরেরা। পেশাদার ও সৌখিন মাছ শিকারীদের আনাগোনায় জমে উঠেছে এই বাজার। একেকটি উপকরণের দাম প্রকারভেদে প্রায় ৩শ’ টাকা থেকে প্রায় ৫ হাজার টাকার মত।

পাকেরহাট সর্দারপাার চাঁই ব্যবসায়ী বসন্ত রায় বলেন, আগের মতো তো আর বাঁশের উপকরণের বিক্রি নাই। এখন মানুষ আধুনিক হয়ে গেছে, তারা প্লাস্টিকের জিনিসপাতি ব্যবহার করেন। কুলা, ঝাড়ু, খইচালা আর কেউ বেশি নেয় না। তবে বর্ষাকাল এলে একটু বেশি মাছ ধরার উপকরণ বিক্রি হয়।

একেকটি উপকরণ বিক্রি করে আকারভেদে একশ’ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ হয়। তবে আগের চেয়ে এসবে লাভ কমে গেছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS