ভিডিও

কুড়িগ্রামে ফের বাড়ছে নদ নদীর পানি

১৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড

প্রকাশিত: অক্টোবর ০৫, ২০২৪, ০৮:৩০ রাত
আপডেট: অক্টোবর ০৫, ২০২৪, ১০:৪৫ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি : ভারি বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে ফের বাড়ছে নদ-নদীর পানি। তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি ধীর গতিতে বাড়লেও তিস্তার পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে।

ভারি বৃষ্টির কারণে কুড়িগ্রাম শহরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর, ফায়ার সার্ভিস চত্বর, টাপু ভেলাকোপা, চর হরিকেশ, তালতলা ও রৌমারীপাড়াহ কয়েকটি এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় ১শ’ মিলিমিটারসহ জেলায় ১৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। টানা বৃষ্টিপাতের কারণে জেলার সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানান কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান।

পাহাড়ি ঢলে সীমান্তবর্তী জিঞ্জিরাম নদীর পানি দুকুল ছাপিয়ে রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলার ১০টি গ্রামের নিচু এলাকার আমন ও বাদাম ক্ষেত তলিয়ে গেছে। গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে তিস্তা ও ধরলার নিচু এলাকায় প্রায় ৫শ’ হেক্টর জমির আমন ক্ষেত তলিয়ে থাকায় ক্ষেত নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।

অপরদিকে তিস্তার ভাঙনে রাজারহাটের গতিয়াশাম, চর গতিয়াশাম ও ধরলার ভাঙনে বেগমগঞ্জ, সারডোবসহ কয়েকটি এলাকায় বেড়েছে নদীর ভাঙন। গত এক সপ্তাহে এসব এলাকায় গৃহহীন হয়েছে অন্তত শতাধিক পরিবার। বেগমগঞ্জে ভাঙনে বিলীন হয়েছে একটি কমিনিটি ক্লিনিক ও বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র। ঝুঁকিতে পড়েছে একটি হাইস্কুল।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, গত ২৪ ঘন্টায় কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় ১শ’ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। অন্যান্য উপজেলাতেও কমবেশি বৃষ্টি হয়েছে। এতে নিচু এলাকার ধান, সবজি ও বাদাম ক্ষেতের কিছু ক্ষতি হতে পারে।

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি জানান, অসময়ের কয়েকদিনের টানাবর্ষণে কুড়িগ্রামের রৌমারী-রাজিবপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে তলিয়ে গেছে রোপা আমন, উন্নত জাতের বাদাম ও শীতকালীন ফসলের ক্ষেত। টানাবর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রোপা আমন, উন্নতজাতের বাদাম, মরিচ, বেগুন, মুলা, লাল শাক, পটল, ঝিঙাসহ বিভিন্ন জাতের শীতকালীন ফসল।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আশা পাহাড়ী ঢলের পানিতে কুড়িগ্রামের রৌমারীর চরআলগারচর, খেওয়ারচর, ইজলামারী, চরইজলামারী, ভুন্দরচর, চৎলাকান্দা, ওকড়াকান্দা ও রাজিবপুরের বালিয়ামারী, বদরপুর, কেছুমারিরচর, মিয়া পাড়াসহ বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। টানা বৃষ্টি থাকলে আরও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এবিষয় রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম চৌধরীর কাছে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিষয় জানতে চাইলে তিনি জানান, কয়েকদিন ধরেই টানাবৃষ্টি হচ্ছে। অসময়ের বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে রোপা আমন, উন্নতজাতের বাদামসহ শীতকালীন ফসলের ক্ষতি হচ্ছে।

আরও ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তবে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় এখন পর্যন্ত ক্ষতির নিরুপণে ৩০ হেক্টর জমির হিসাব পাওয়া গেছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS