ভিডিও

১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর প্রজনন মৌসুমে ইলিশ আহরণ, মজুদ পরিবহণ ও বেচাকেনা নিষিদ্ধ

প্রকাশিত: অক্টোবর ০৬, ২০২৪, ০৭:৩০ বিকাল
আপডেট: অক্টোবর ০৬, ২০২৪, ০৯:২০ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : আগামী ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশের প্রজনন মৌসুম। এই ২২ দিন দেশব্যাপী ইলিশ ধরা, মজুদ, পরিবহন ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ থাকবে। প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ আহরণ বন্ধের সময় নির্ধারণ এবং ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৪’ নিয়ে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত বগুড়া জেলা টাস্কফোর্স কমিটির এক সভায় এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

বগুড়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গতকাল রোববার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজ।

সভায় বলা হয়, বাংলাদেশের ইলিশ মাছ ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে, ফলে ইলিশ বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হিসেবে সারাবিশ্বে সমাদৃত। ইলিশের এই প্রজনন মৌসুমে ইলিশ ধরা, মজুদ ও বেচাকেনা যেন বন্ধ থাকে এজন্য ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে।

আগামী ১০ ও ১১ অক্টোবর সংশ্লিষ্ট মাছঘাট, বাজার, আড়ৎ, টার্মিনালসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও শহরে মাইকিং, মসজিদসহ বিভিন্ন স্থানে লিফলেট বিতরণ, দৃশ্যমান স্থানে ব্যানার টাঙানো, মতবিনিময় এবং সচেতনতামূলক সভার আয়োজন করতে হবে।

ইলিশ আহরণকারী নৌযান, ট্রলারসমূহ যাতে মাছ আহরণে না যেতে পারে তা নিশ্চিত করতে ১২ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ৩ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত ধুনট, সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা উপজেলাসংলগ্ন যমুনা নদীতে ইলিশ আহরণকারী নৌযানগুলোকে সংশ্লিষ্ট ঘাটে অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।

ওই উপজেলা তিনটিতে বিদ্যমান ইলিশ আহরণকারী নৌযান ও ট্রলারগুলোর ঘাটে অবস্থানের বিষয়টি তদারকি করতে হবে। যমুনা নদীতে ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধের সময়ে প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে।

ইলিশের বাজারজাত বন্ধে বগুড়ার ১২টি উপজেলার কোথাও যেন কেউ ইলিশ মজুদ, পরিবহন ও বাজারজাতকরণ করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। এসময় জেলার সকল হাট-বাজার, মাছের আড়ৎ, মাছঘাট, টার্মিনালসমূহ এবং কোল্ডস্টোরেজকে পর্যবেক্ষণের আওতায় এনে প্রয়োজনে অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে।

এই নিষিদ্ধকালীন শুধু ইলিশই নয়, ইলিশ সাদৃশ্য অন্যান্য মাছ যেমন সার্ডিন, সেড, হেরিং ইত্যাদি মাছ কেনাবেচাও বন্ধ রাখতে হবে। এছাড়া হোটেল রেস্তোঁরাগুলোতে যেন অবাধে রান্না করা ইলিশ মাছ বিক্রি না হয় সেজন্য জেলা টাস্কফোর্স কমিটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধের সময়ে সারিয়াকান্দি উপজেলার ৮৫০টি জেলে পরিবারের মানবিক সহায়তার জন্য ২৫ কেজি করে ভিজিএফ’র চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। আগামী ১২ অক্টোবরের আগে এই চালগুলো বিতরণ করা হবে। অন্যদিকে ধুনট উপজেলার ৩৫০ এবং সোনাতলার ৪৭৫টি নিবন্ধিত ইলিশ আহরণকারী জেলে পরিবারকে মানবিক এই সহায়তা কর্মসূচির আওতায় আনতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

এছাড়া সারিয়াকান্দির নিবন্ধিত সকল ইলিশ জেলেকেও এই কর্মসূচির আওতায় আনতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি ইলিশ ধরা, মজুদ ও বেচাকেনা কর্মসূচি জোড়দার করতে জেলা মৎস্য কর্মকর্তার দপ্তরে কন্ট্রেল রুম খোলার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার) আব্দুর রশিদ, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কালীপদ রায়, সারিয়াকান্দি উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মোর্শেদ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিআরডিবি’র উপ-পরিচালক মাহফুজুর রহমান, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক তোসাদ্দেক হোসেন প্রমুখ।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS