ভিডিও

সাঁথিয়ায় স্বেচ্ছাশ্রমে ২ কিলোমিটার নদীর কচুরিপানা অপসারণ

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৪, ০৭:৪৪ বিকাল
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৪, ০৭:৪৪ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার পুন্ডুরিয়া কাকেশ্বরী নদীতে পরিবেশ ও সচেতনতার অংশ হিসেবে ২ কিলোমিটার বিস্তৃত কচুরিপানা অপসারণের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় ‘পুন্ডুরিয়া শান্তি সংঘ’ নামের একটি সামাজিক সংগঠন।

উদ্বোধনের প্রথমদিনেই প্রায় আধাকিলোমিটার কচুরিপানা পরিস্কার করা হয়েছে। প্রতি বছর বর্ষা পরবর্তি সময় জমে থাকা কচুরিপানা পঁচে দূষিত হয়ে পড়ে কাকেশ্বরী নদীর পানি। নানা ধরনের পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয় নদীর দুই পারের বাসিন্দারা। নদীর এই কচুরিপানা ধীরে ধীরে মহাদুর্ভোগে পরিণত হয়।

আজ শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে সংগঠনটির ডাকে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কচুরিপানা অপসারণে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন পুন্ডুরিয়া গ্রামের ছাত্র-শিক্ষক, মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের প্রায় ২ শ’ মানুষ।

কচুরিপানা পরিস্কারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে করমজা ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী বাগচীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডে গ্রুপের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিল্পপতি আলহাজ এম.এ ওহাব বাগচী।

আরও উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের, সাঁথিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন, সমাজসেবক মনসুর হোসেন, করমজা ৬নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোঃ ফারুক হোসেন, সাবেক ইউপি সদস্য ফজলুর রহমান, সাবেক ইউপি সদস্য রজব আলী মুন্সীসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

কচুরিপানা পরিস্কার অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে ডে গ্রুপের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিল্পপতি আলহাজ এম.এ ওহাব বাগচী জানান, পুন্ডুরিয়া কাকেশ্বরী নদীতে দীর্ঘদিন ২ কিলোমিটার যেভাবে কচুরিপানা আটকে ছিল তা এলাকাবাসীর জন্য দুর্যোগে পরিণত হয়েছিল।

তাই দল-মত-নির্বিশেষে স্বেচ্ছাশ্রমে সবাই একযোগে কচুরিপানা অপসারণে ঝাঁপিয়ে পড়েছি। পরে আর যাতে কচুরিপানা জমতে না পারে সে ব্যাপারে আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। প্রতিটি ভালো কাজের সাথে আমি আছি সবসময় থাকব।

সংগঠনটির পরিচালক জহুরুল ইসলাম পাপ্পি জানান, আমরা অতীতে উল্লেখযোগ্য কাজ করেছি তাই পরিবেশ ও সচেতনতার অংশ হিসেবে আমরা আমাদের গ্রামের ঐতিহ্যবাহী কাকেশ্বরী নদীতে ৭ দিনব্যাপী কচুরিপানা পরিস্কারের কার্যক্রমের উদ্যোগ নিয়েছি। নদীর দুইপাড়ে প্রায় ১২ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস দরিদ্র অধিকাংশ মানুষ নদী থেকে মাছ সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করে।

এছাড়াও দৈনন্দিন কাজে এই নদীর পানি ব্যবহার করে থাকি। এখন থেকেই যদি আমরা সচেতন না হই তাহলে অন্য সব নদীর মতই এই নদীও হারিয়ে যাবে যা আমরা চাই না। আমরা পুন্ডুরিয়া শান্তি সংঘ এই নদীর পরিবেশ রক্ষায় বদ্ধপরিকর।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS