শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুরে সৎবাবার নির্যাতনে রাবেয়া আক্তার নামে আড়াই বছরের এক শিশুর মৃৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় শিশুটির সৎবাবা মঞ্জুরুল আলমকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, ছয় বছর আগে কুমিল্লা জেলার রুনা আক্তারের সঙ্গে বিয়ে হয় গাইবান্ধা জেলার রিকশাচালক রাশেদুলের। তাদের সংসার জীবনে দুটি মেয়ে সন্তান জন্ম নেয়। কয়েকমাস আগে রুনা আক্তারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে চট্টগ্রামের টিউবওয়েল শ্রমিক মঞ্জুরুল আলমের। ১৭ দিন আগে তারা দুজনে পালিয়ে বিয়ে করেন। শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসার এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা এসকেন্দারের বাসায় ভাড়া থাকা শুরু করেন তারা। কিন্তু আগের পক্ষের শিশু সন্তান রাবেয়াকে সঙ্গে নিয়ে আসেন রুনা আক্তার।
গত সপ্তাহে রাবেয়া প্রস্রাব-পায়খানা করলে সৎবাবা মঞ্জুরুল আলম শিশুটির হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করেন। রোবাবার রাতেও শিশুটিকে মারধর করেন মঞ্জুরুল। এতে গুরুতর অসুস্থ হলে সোমবার বেলা ১১টার দিকে রাবেয়াকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন তার মা রুনা আক্তার। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়েছে।
শিশুটির মা রুনা আক্তার বলেন, আমার দ্বিতীয় স্বামী মেয়েটিকে মারধর করেছে। সে অসুস্থ হয়ে পড়লে সকালে হাসপাতালে এনে ভর্তি করি। কিন্তু বিকেলে মেয়েটি মারা যায়। সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মিতু আক্তার বলেন, শিশুটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এছাড়া শিশুটির শ্বাসকষ্ট এবং জ্বরও ছিল। আমরা ঢাকায় রেফারও করি। কিন্তু তাকে নেওয়া হয়নি।
শরীয়তপুর সদর পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সৎবাবা শিশুটিকে নির্যাতন করে। পরে সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে অভিযুক্তকে আটক করেছি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।