ভিডিও

নাগেশ্বরীতে কোরবানির উদ্বৃত্ত সাড়ে ৭ হাজার গবাদি পশু

প্রকাশিত: জুন ০৮, ২০২৪, ০৯:৩৬ রাত
আপডেট: জুন ০৮, ২০২৪, ১১:৫২ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : নাগেশ্বরীতে পবিত্র ঈদুল আযহায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে চাহিদার চেয়ে উদ্বৃত্ত ৭ হাজার ৫৫৯টি গবাদি পশু। স্থানীয়ভাবে খামার ও কৃষকের ঘরে নিবিড় পরিচর্যায় বেড়ে ওঠা এসব কোরবানিযোগ্য পশু এখন শুধু হাটে তোলার অপেক্ষায়।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের নিরাপদ গবাদি পশুর মাংস উৎপাদনে সক্ষম পশুর হিসেব অনুযায়ী ঈদে কোরবানির জন্য দরকার ৪২ হাজার ৮৩৫টি পশু। বিপরীতে খামারিরা তাদের খামারে ও কৃষক তাদের ঘরে সঠিক পরিচর্যায় প্রস্তুত করে তুলেছেন ২৫ হাজার ১০৫টি ষাঁড়, ২৫৮টি বলদ, ১২৬টি মহিষ, ১৪ হাজার ১৫৫টি ছাগল ও ৫ হাজার ২৫টি ভেড়াসহ সর্বমোট ৫০ হাজার ৩৯৪টি গবাদি পশু।

গত কয়েক বছর ধরে স্থানীয় হাট-বাজারে চাহিদা বজায় রেখেছে দেশিয় গরু। ভালো দাম পাওয়ায় পশু পালনে আরও আগ্রহী হয়েছে খামারি ও কৃষকরা। ঈদে পরিবারের বাড়তি খরচের চাপ সামলাতে এক থেকে একাধিক গবাদি পশু বাড়িতে রেখে মোটাতাজাকরণ করছে কৃষকেরা। খামারিরাও খামারে প্রস্তুত করছেন কোরবানিযোগ্য পশু।

উপজেলার সবচেয়ে বড় গরুর খামার পৌরসভার সাতানিতে আরশি এগ্রো ফার্মের স্বত্তাধিকারী হারিসুল বারী রনি জানান, ফার্মের মোট ৮০টি গরুর মধ্যে ৩০টি কোরবানিযোগ্য। একেকটি প্রায় ৪-৫ লাখ টাকায় বিক্রি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

তবে চাহিদার চেয়ে উদ্বৃত্ত কোরবানীযোগ্য পশু হওয়ায় স্থানীয় পশুর হাটে ভালো দাম পেতে সমস্যা হবে বলে উদ্বিগ্নতার কথা জানান, উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের খয়বর আলী, বেলাল হোসেন, কচাকাটার মাহাবুব হোসেন, রিয়াজুল ইসলামসহ অনেক কৃষক। ভালো দাম না পেলে ঈদে পরিবারের খরচ সামলাতে তাদের হিমশিম খেতে হবে।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সাহেদুল ইসলাম জানান, এবার চাহিদার চেয়ে অধিক কোরবানীযোগ্য পশু প্রস্তুত রয়েছে। কিছু পশুর দাম এতটাই বেশি যা এলাকার মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। আর বাকিগুলোর দাম মানুষের সাধ ও সাধ্যের মধ্যে রয়েছে। এগুলো খামারি ও কৃষকেরা বিক্রি করে ভালো দাম পাবেন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS