ভিডিও

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫ বন্ধুর দাফন সম্পন্ন

প্রকাশিত: জুলাই ০৫, ২০২৪, ০৫:৪১ বিকাল
আপডেট: জুলাই ০৬, ২০২৪, ১২:৪৯ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

পাবনার ঈশ্বরদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত পাঁচ বন্ধুর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার (৫ জুলাই) বাদ জুমা ঈশ্বরদী উপজেলার আজমপুর ও ভারইমারি গ্রামে জানাজার নামাজ শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়। 

এর আগে স্বজনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। সকাল ১০টার দিকে ঈশ্বরদী হাইওয়ে থানা থেকে মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হয়। 

মরদেহগুলো নিয়ে বাড়িতে পৌঁছার পর এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। স্বজনদের বুকফাটা আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে এলাকার বাতাস। তাদের সান্ত্বনা দেবার ভাষাও হারিয়ে ফেলেন প্রতিবেশীরা। একসঙ্গে এতগুলো প্রাণের মৃত্যুর ঘটনা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তারা। 

ইউপি চেয়ারম্যান বকুল সর্দার বলেন, এমন দুর্ঘটনা সত্যিই মর্মান্তিক। কারোরই কাম্য নয়। নিহতের স্বজনদের সান্ত্বনা দেয়ার ভাষা আমাদের নেই। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে যতটুকু সম্ভব আমরা পাশে থাকবো। তবে পরিবার থেকে সন্তানদের বিষয়ে আরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবীর কুমার দাস বলেন, উপজেলা প্রশাসন থেকে আমরা নিহতদের পরিবারের খোঁজখবর রাখছি। তাদের যে কোনো প্রয়োজনে আমরা তাদের পাশে আছি। সরকারিভাবে যতটুকু সম্ভব তাদের সহযোগিতা করা হবে। 

 

বিজয়ের নানি হাসিনা বেগম বলেন, ‌‘বিজয় ঢাকায় গাড়ি চালায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে আসছে বাড়িতে মালিকের প্রাইভেটকার নিয়ে। এসময় সে তার স্ত্রীকে বলেছিল, আমার সময় বুঝি বেশি নাই, তুমি কি একা থাকতে পারবে। আমি তো মনে হয় আর ফিরবো না তোমার কাছে। আজ বাড়িতে আসছি বাড়িতেই থাকবো কোথাও যাবো না।’ কিন্তু তার অন্য বন্ধুরা এসে তাকে বারবার বেড়াতে যাওয়ার অনুরোধ জানায়। বন্ধুদের অনুরোধ রাখতে সন্ধ্যার পরে প্রাইভেটকার নিয়ে বেড়াতে বের হয় বিজয়। বৃহস্পতিবার রাত নয়টায় তার ঢাকায় ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই সব শেষ হয়ে গেল।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাত ৯টার দিকে প্রাইভেটকার নিয়ে বেড়াতে বের হয়ে ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া চিনিকলের সামনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কায় মারা যান ৫ বন্ধু। এ ঘটনায় আহত ২ জন পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

নিহতরা হলেন, ঈশ্বরদী উপজেলার আজমপুর গ্রামের কবির ওরফে আনোয়ার হোসেনের ছেলে মাইক্রোবাস চালক বিজয় (২৩), রেজাউল করিমের ছেলে জিহাদ (১৬), ইলিয়াস আলির ছেলে শিশির (১৫), মৃত মাসুম হোসেনের ছেলে সিফাত (১৫) ও ভাড়ইমারি গ্রামের ওয়াজ উদ্দিনের ছেলে শাওন (১৫)। আহতরা হলেন, জাপান আলির ছেলে শাহেদ ওরফে জেটু (১৬) ও সুমন হোসেনের ছেলে নাইম (১৭)। 

নিহতদের মধ্যে প্রাইভেটকারচালক বিজয় ঢাকায় গাড়ি চালান। আর বাকি চারজন স্থানীয় একটি ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।   



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS