ভিডিও

বগুড়ার ধুনটে গ্রামীণ সড়কে সৌরবাতির খুঁটি থাকলেও জ্বলে না আলো

প্রকাশিত: জুলাই ২৬, ২০২৪, ০৯:২১ রাত
আপডেট: জুলাই ২৬, ২০২৪, ০৯:৩৩ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার ধুনটের বিভিন্ন সড়কসহ হাট-বাজার, মসজিদ ও মন্দিরের সামনে বসানো স্ট্রিট লাইট (সৌরবাতি) অকেজো হয়ে পড়েছে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অধিকাংশ লাইট অকার্যকর। কোনো কোনো সড়কে শুধু খুঁটিগুলো দাঁড়িয়ে আছে, আবার কোনো সড়কে বাতি থাকলেও আলো জ্বলে না, আবার কোনো সড়কে সেন্সর নষ্ট হয়ে দিনের বেলাতেই বাতিগুলো জ্বলে ওঠে।

নিন্মমানের ও নামসর্বস্ব সৌর প্যানেলসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশের কারণে নষ্ট হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে সৌরবাতি গুলো রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতে কোনো বরাদ্দ না থাকায় অন্ধকারে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এই জনপদের সাধারণ মানুষকে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গ্রামকে শহরে রূপান্তরিত করার জন্য গ্রামীণ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, মোড়, বাজার, মসজিদ ও মন্দিরের সামনে রাতে আলোর ব্যবস্থার জন্য সরকার গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) এবং কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) প্রকল্পের মাধ্যমে সৌরবাতি স্থাপন করে।

এ উপজেলায় প্রায় ৪ বছর আগে প্রায় ৩০০টি সৌরবাতি স্থাপন করা হয়। গ্রামের পথে রাতের অন্ধকারে আলো ছড়ানোর জন্যই নেওয়া হয়েছিল প্রকল্পটি। সেই বাতির আলো এখন আর সড়কে পড়ে না। সেখানে আগের মতোই অন্ধকার। অথচ প্রতিটি সৌরবাতি স্থাপনে খরচ হয়েছে ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টাকা।

অভিযোগ রয়েছে, বাতিগুলো স্থাপন করার পরে আর কখনও দেখভাল করেনি কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে বেশির ভাগ সৌরবাতি বিকল হয়ে গেছে, আর যেগুলো সচল আছে সেগুলোও খুব অল্প সময় ও কম আলো দেয়। তাই গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে এখন বিদ্যুৎ চলে গেলে ভ‚তুড়ে অবস্থা বিরাজ করে, সৃষ্টি হয় নিরাপত্তাহীনতা। রক্ষনাবেক্ষণের অভাবে অন্ধকারে হারিয়ে যেতে বসেছে আলোর প্রকল্প।

ধুনট উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল আলিম জানান, স্থাপিত সৌরবাতি গুলোর ওয়ারেন্টির মেয়াদকাল ছিল তিন বছর। বেশ আগেই সৌরবাতি স্থাপনের সময় কাল তিন বছর পেরিয়ে গেছে। এছাড়া চুক্তির মেয়াদের পর সৌরবাতি গুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতে জন্য কোনও বরাদ্দ না থাকায় এখন আপাতত কিছুই করা যাচ্ছে না। তবে বিকল হওয়া সৌরবাতিগুলো হয়তো অল্পকিছু টাকা খরচ করেও মেরামত করে পুনরায় সচল করা সম্ভব বলেও উল্লেখ করেন তিনি।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS