ভিডিও

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে নদী খননের বালুতে খালের মুখ বন্ধ, ৩ বছরেও সুরাহা হয়নি

প্রকাশিত: জুলাই ২৯, ২০২৪, ১১:০৪ রাত
আপডেট: জুলাই ৩০, ২০২৪, ১২:২১ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

সাহাদত জামান, সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার কুতুবপুর ও ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের মধ্যবর্তী সীমানার খালের মুখ বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল বাঙালি নদী খননের বালু ফেলে। এতে খালের মধ্যবর্তী জমির কৃষকরা গত কয়েক বছর ধরে বোরোধানের চারা উৎপাদন করতে পারছেন না।

প্রায় ৫০০ একর ফসলি জমি থাকছে পানির নিচে। এ বছরও বোরো ধানের বীজতলা নিয়ে চিন্তিত ১২ গ্রামের ১০ হাজার কৃষক। এ বিষয়ে ২০২২ সাল থেকে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও কোনও সুরাহা পাচ্ছে না কৃষকরা।

খাল সংলগ্ন ক্ষতিগ্রস্থ ভেলাবাড়ী ও কুতুবপুর ইউনিয়নের কৃষকেরা জানিয়েছেন, গত প্রায় ৩ বছর আগে বাঙ্গালী নদী খননের সময় ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের বাঁশহাটা গ্রামে বালু ফেলে একটি খালের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়। সে সময় কৃষকেরা এ কাজে খননকারী কোম্পানিকে বাধা দিয়েছিলেন। কিন্তু তারা পাইপ দিয়ে পানি বের করে দেওয়ার কথা বললেও পরবর্তী সময়ে তা আর করেননি।

ফলে খালের পানি বাঙ্গালী নদীতে না পড়ে খালেই আটকে যায়। এতে ওই দুই ইউনিয়নের বরইকান্দি, কুতুবপুর, শোলারতাইড়সহ ১২ টি গ্রামের ফসলি প্রায় ৫০০ একর জমিতে কৃষকরা গত ৩ বছর ধরে বোরোধানের চারা উৎপাদন করতে পারছেন না এবং কোনও ফসল ফলাতে পারছেন না।

এ বিষয়ে গত বছর বিভিন্ন মহলে অভিযোগ করে এখনো এর কোনোও সুরাহা পাচ্ছেন না কৃষক। তবে গত বছর ইজারাদার খালের মুখের বালু বিক্রি করে দিয়েছেন। এতে খালের মুখ খালি হলেও গ্রামবাসীর চলাচলের একটি রাস্তা আটকে রেখেছে খালের পানি।

উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের শোলারতাইড় গ্রামের কৃষক আব্দুল মালেক বলেন, ৩ বছর ধরেই খালের পানিতে জমি ডুবে থাকছে। চারাগাছ কিনে গত কয়েক বছর ধরেই বোরোধান চাষ করছি। গত বছর বিভিন্ন দপ্তরে আমরা ঘুরছি, অভিযোগ দিয়েছি কিন্তু আজও খালের মুখ খুলেনি। তাড়াতাড়ি খালের পানি বের করার ব্যবস্থা করা হোক। না হলে এ এলাকার প্রায় ৩০০ বিঘা আমন ধান নষ্ট হচ্ছে। আর ২০ হাজার বিঘা জমিত বোরো ধান রোপন করা যাবে না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বলেন, এ বিষয়ে আমি ইতিপূর্বে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানিয়েছি। খালে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় বিশাল এলাকার কৃষিজমি এখন পানিতে নিমজ্জিত। এ জলাবদ্ধতা নিরসন না করায় কৃষকেরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগস্ত হচ্ছেন।

কুতুবপুর ইউপির  চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সুজন বলেন, এ বিষয়ে কৃষকরা আমাকে মৌখিকভাবে বেশ কয়েকবার অভিযোগ দিয়েছে। এ সমস্যার কথা আমি ইতিপূর্বে ঊর্ধ্বতন মহলের সবাইকে জানিয়েছি। গত বছর খাল খননের জন্য একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল কিন্তু নানা প্রতিবন্ধকতায় অভিযানটি সে সময় সফল হয়নি। খালের মুখ বন্ধ থাকায় বিশাল এলাকার আমন ধান পানিতে তলিয়ে গেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  মো: তৌহিদুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। সরেজমিন পরিদর্শন শেষে কৃষকদের সুবিধার্থে দ্রুত খালের মুখ খুলে দেয়ার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS