সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার সোনাতলা থানা পুলিশ গত ১৫ দিনে বিএনপি-জামায়াতের ১৮ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। এদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় নাশকতার মামলা রয়েছে। পুলিশি অভিযানে গ্রেফতারের পর মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে গেছে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে বগুড়াসহ রাজধানী ঢাকায় বগুড়া জেলার সোনাতলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী কোটা বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেয়। এমনকি তারা সরকারী বিভিন্ন স্থাপনা, অফিস আদালত ও পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। ফলে দেশব্যাপী শুরু হয় পুলিশি অভিযান।
পুলিশের সেই অভিযানে উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি মোনারুল ইসলাম বিটু, উপজেলা ছাত্রদলের সহ দপ্তর সম্পাদক ও সুজাইতপুর এলাকার মামুন হাসান (২৪), স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক ও গড়ফতেপুর এলাকার রনি শেখ (৩০), পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আগুনিয়াতাইড় এলাকার শোয়েব আহমেদ (৩০), বিএনপির সমর্থক ও রেল ষ্টেশন এলাকার ফেরদৌস আলম বাবু (৩৫), সুজাইতপুর এলাকার আব্দুল সরকারের ছেলে মিনারুল ইসলাম (৪০), দিগদাইড় ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মিঠু মিয়া (৩৮) সহ বিএনপি-জামায়াতের ১৮ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
এ বিষয়ে ওসি বাবু কুমার সাহা বলেন, আমাদের নিকট তথ্য রয়েছে সোনাতলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার তিন শতাধিক বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী জেলা সদরসহ রাজধানী ঢাকায় নাশকতার ঘটনার সাথে জড়িত।
তারা নাশকতা ও হামলা অগ্নিসংযোগের সাথে জড়িত। তবে প্রভাবশালী নেতারা আত্মগোপনে রয়েছে। পুলিশ তাদের গ্রেফতারে তৎপর রয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।