সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে নাশকতা ঘটানোর চেষ্টা মামলায় ২জন স্কুল শিক্ষার্থীকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তারা হলো সিয়াম বাবু (১২) এবং সাবিদুল ইসলাম সুপ্ত (১১)। সুপ্ত সারিয়াকান্দি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির এবং সিয়াম একই প্রতিষ্ঠানের ৮ম শ্রেণির ছাত্র। এ ঘটনার প্রধান আসামি আব্দুল মোমিন (২২) কেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
সিয়াম বাবু উপজেলার পৌর এলাকার আন্দরবাড়ী গ্রামের মিঠু ইসলামের ছেলে এবং সুপ্ত একই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। অপরদিকে আব্দুল মোমিনও ওই গ্রামেরই শাহীন মিয়ার ছেলে। এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের রেসকিউ বোর্ডের আউটসোর্সিং ড্রাইভার সারিয়াকান্দি থানায় দুটি পৃথক মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার দুপুরে উপজেলা পরিষদের মহাস্থান বগুড়া-১ এবং মহাস্থান বগুড়া-২ নামক রেসকিউ বোর্ডের আউটসোর্সিং ড্রাইভার মোস্তাফিজার রহমান এবং ওবায়দুল রহমান দেখেন উপরোক্ত আসামিরা রেসকিউ বোর্ডে ভাঙচুর করছে। রেসকিউ বোর্ড দুটি কালিতলা গ্রোয়েন বাঁধের দক্ষিণ পাশের শশ্মান ঘাটে বাঁধা ছিল। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, বড় ধরনের সহিংসতা ও নাশকতা ঘটানোর আশঙ্কায় তাদের আটক করেন স্থানীয়রা। পরে নৌকার মাঝিরা একত্রিত হয়ে তাদের মারপিট করে। বাদির দেয়া ঘটনার সংবাদ পেয়ে সারিয়াকান্দি থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক আওয়াল কাফি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের গ্রেফতার করেন। পরে প্রধান আসামি আব্দুল মোমিনের দেহ তল্লাশি করে বৈদ্যুতিক বাল্ব, তার, ভাঙগা আয়নার টুকরা এবং দিয়াশলাই উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয় এবং মোমিনসহ শিক্ষার্থীদের নামে থানায় নাশকতার চেষ্টার দুটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়।
সারিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, দুটি রেসকিউ বোর্ডে ২২০ লিটার তেল মজুদ ছিল। এ বিষয়ে মামলার প্রধান আসামি এবং এ কাজে সহযোগিতা করার অপরাধে ২ জন শিক্ষার্থীকে বৃহস্পতিবার সকালে বগুড়া জেলার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।