ভিডিও

জয়পুরহাটে আড়তে ২ টাকা, খুচরা বাজারে ৫ টাকা বেড়েছে চালের দাম

প্রকাশিত: আগস্ট ০৩, ২০২৪, ১০:৩৮ রাত
আপডেট: আগস্ট ০৩, ২০২৪, ১০:৩৮ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি : ইরি-বোরোর ভরা মৌসুমে ধানের জেলা নাম পরিচিত জয়পুরহাটের বিভিন্ন হাট-বাজারে লাফিয়ে বাড়ছে সব ধরণের চালের দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরণের কেজিতে দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৬ টাকা। চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষরা। এ নিয়ে স্থানীয় চালকল মালিকরা বলছেন, দেশে বিরাজমান পরিস্থিতি, বৈরী আবহাওয়া ও ধানের দাম বাড়ার কারনে চালের দামে প্রভাবে পড়েছে।

সেই সাথে খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, মোকামে দাম বাড়ায় খুচরা পর্যায়েও চালের দাম বেড়েছে। কেজিতে ২/১ টাকা লাভ করে বিক্রি না করলে পেট চলবে কিভাবে? কমতি তো আছেই। জানা গেছে, উত্তরাঞ্চলের সীমান্তঘেঁষা এ জেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ৬৯ হাজার ৬০৫ হেক্টর জমিতে ধানের চাষ হয়েছে। উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৪ লাখ সাড়ে ২২ হাজার মেট্রিক টন ধান।

তাতে চালের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮১ হাজার ৬৮৬ মেট্রিক টন। সে অনুযায়ী উৎপাদনও হয়েছে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় যোগানও দিয়ে আসছে। হঠাৎ করে সপ্তাহ খানেক থেকে জেলার বিভিন্ন আড়তে ঘরে সব ধরণের চালের দাম বেড়েছে। আবার সেই চাল খুচরা বাজারে কেজির উপর ৪ থেকে ৫ বেশিতে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এক সপ্তাহ আগে পাইকারি বাজারে মোটা জাতের রণজিত, স্বর্ণা-৫, বিআর-২৯ ছিল ৪৮ টাকা কেজি। এখন সেই চাল খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৩ টাকা কেজি। আর ৫৭ টাকার জিরাশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৬২ টাকায়, ৬০ টাকার কাটারি চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়।

এতে গত সপ্তাহের চেয়ে বর্তমানে সব ধরনের চালের দাম পাইকারিতে বেড়েছে কেজিতে ২ টাকা আর খুচরাতে বেড়েছে কেজি প্রতি ৪ থেকে ৫ টাকা। হঠাৎ করে চালের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। বিশেষ করে দিনমজুর ও স্বল্প বেতনের চাকুরীজীবিরা বেশী কষ্টে রয়েছেন। তাই বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের তদারকির দাবি করেন তাঁরা।

পাঁচশিরা বাজারের আকন্দ রাইস মিলের স্বত্তাধীকারী আব্দুল আজিজ আকন্দ বলেন,‘ধানের দাম মণপ্রতি ২’শ থেকে আড়াই’শ টাকা বেড়েছে। আবার আবওহাওয়াও বৈরী যাচ্ছে। ঠিকমত চাল উৎপাদনও করতে পারছেন না মিল মালিকরা। সবমিলে কেজিতে গত এক সপ্তাহ ধরে এক থেকে দেড় টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বৈরী আবহাওয়া কেটে গেলে চালের দাম স্বাভাবিক হবে।’

জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন,‘কেজিতে ২/১ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে এমন কথা আমরাও শুনেছি। এ নিয়ে মিল মালিকদের সাথে আমরা কথাও বলেছি। চাল নিয়ে সিন্ডিকেট করার কোনো সুযোগ নেই। আমরা আগের চেয়ে বর্তমানে মোবাইল কোর্ট ও বাজার মনিটরিং জোরদার করেছি। বর্তমানে সবাইকে সতর্ক করা হচ্ছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।’



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS