ভিডিও

স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে বগুড়ার জনজীবন

প্রকাশিত: আগস্ট ০৭, ২০২৪, ১১:১১ রাত
আপডেট: আগস্ট ০৭, ২০২৪, ১১:১১ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সৃষ্ট সহিংসতা ও ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগকে কেন্দ্র করে বিজয়োল্লাস হয় দেশজুড়েই। গত কয়েক দিনের সহিংস ঘটনায় প্রাণহানি ও বিজয়োল্লাসের আড়ালে দুর্বৃত্তদের লুটপাট, অগ্নিসংযোগে স্থবির ও আতঙ্কিত হয়ে ওঠে সাধারণ মানুষের জনজীবন।

সারাদেশের মতো বগুড়াতেই এমন চিত্র দেখা যায়। বিশেষ করে ৫ আগস্টের পর আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের অন্যতম বাহিনী পুলিশ সদস্যরা মাঠে না থাকায় অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। ৫ আগস্ট বিজয়োল্লাসকালে ও সন্ধ্যার পর থেকে দুর্বৃত্তরা বগুড়া শহরের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে। রাতে লুটপাট এড়াতে রাত জেগে পাহারা দেন বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ীরা।

এমন পরিস্থিতিতে দেশের সার্বিক দায়িত্ব নিয়ে ৬ আগস্ট থেকে সবকিছু স্বাভাবিক করার ঘোষণা দেন সেনাবাহিনী প্রধান। পরের দিন সড়কেও ছিল না কোন ট্রাফিক পুলিশ। শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে ছিল নানা রকমের ক্ষত চিহ্ন। আগুনে পোড়ার বীভৎষতাও জানান দেয় মোটরসাইকেলসহ অনেক যানবাহন। এমন পরিস্থিতি সামাল দিতে আবারও দায়িত্ব নেন ছাত্রসমাজ।

গত দু’দিন ধরে ট্রাফিক পুলিশবিহীন ব্যস্ততম এই বগুড়া শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা সুচারুভাবে সামলাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবী এসব শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি তারা শহরে ক্ষত পরিস্কার করছেন সমানতালে। শহরের সৌন্দর্য্য ফেরাতে নিচ্ছেন নানা উদ্যোগ। শহরের মূল সড়কের পাশের দেয়ালগুলোতে রঙ করে আঁকছেন নানা রকম দেয়ালচিত্র। ভেঙে ও পুড়ে ফেলা সড়ক বিভজকের মাঝের গাছগুলো সরিয়ে রোপণ করছেন নতুন গাছ।

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার থেকেই শহরের ফিরতে শুরু করেছে প্রাণ। ঘর ছেড়ে প্রয়োজনে বাইরে আসছেন মানুষ। রিকশা-ভ্যান, মোটরসাইকেলসহ নানা পরিবহনের চাপে এখন ব্যস্ত শহর বগুড়া। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও তা এখনও সরব হয়ে উঠেনি। ক্ষতিগ্রস্ত বিপণীবিতানগুলোতে চলছে পরিস্কার-পরিচ্ছনের কাজ। বগুড়ার নিউমার্কেটে খুলেছে যথানিয়মেই।

অন্যান্য বিপণীবিতানগুলোতেও দোকানপাট খুলতে দেখা যায়। তবে শিক্ষার্থীদের কড়াকড়ির কারণে রাস্তা দখল করতে দেখা যায়নি কোন ক্ষুদ্র ও ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীকে। পথচারিদেরও হাঁটতে হয়েছে নিয়ম করে ফুটপাত ধরে। শহরের প্রধান দুই বাজার ফতেহ আলী ও রাজাবাজারে সবগুলো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আগের মতোই খুলেছে।

এই দুই বাজারে লোকসমাগম কিছুটা কম হলেও মানুষের মাঝে কোন আতঙ্ক লক্ষ্য যায়নি। সবজি, মাছ-মাংস, মুরগিসহ অন্যান্য সব ব্যবসায়ীই স্বাভাবিকভাবে তাদের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। মনোহারী দোকানগুলোও খুলেছে আগের নিয়মেই। তবে বেচাকেনা কিছুটা কম বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মকর্তারা নিয়ম করে আসলেও সাধারণ মানুষের এই কার্যালয়ে প্রবেশে ছিল কড়াকড়ি। অলস চিত্র দেখা গেছে পুলিশ সুপারের কার্যালয়েও।

তবে ভিন্ন চিত্র ছিল বগুড়া পৌরসভা কার্যালয়ে। অন্যান্য দিনের মতোই ব্যস্ত ছিল নাগরিক সেবার এই কার্যালয়। ব্যাংকসহ অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো কিছুটা নিয়ন্ত্রণ রেখেই তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। শহরের সড়কগুলোতে ব্যক্তিগত গাড়ির পাশাপাশি আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার পরিবহণগুলো চলাচল শুরু করেছে আগের নিয়মেই।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS