ভিডিও

সিংড়ায় পাটের দাম নিয়ে কৃষকরা অসন্তুষ্ট

প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০২৪, ০৫:০০ বিকাল
আপডেট: আগস্ট ১৭, ২০২৪, ০৫:০০ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

সিংড়া(নাটোর)প্রতিনিধি: বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে জমি থেকে পাট কেটে সোনালী আঁশ ঘরে তোলায় ব্যস্ত নাটোরের সিংড়া উপজেলার কৃষকরা। এবছর পাটের ফলন ভালো হলেও সন্তোষজনক দাম পাচ্ছেন না তারা। 

কৃষকরা বলছেন, চলতি মৌসুমের শুরুতে প্রতি মণ পাটের দাম ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা কেনা বেচা হলেও এখন আর সেই দাম নেই। দেশের অস্বাভাবিক পরিস্থিতি ও সরকার পরির্বতনের প্রভাবে মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি মণে দাম কমেছে ৫শ’ থেকে ৭শ’ টাকা। 

তবে দেশ স্বাভাবিক হলে পাটের দাম বাড়বে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।  উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় রবি পাট-১ ও অন্যান্য দেশি জাতের মোট ১ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে পাটের চাষ হয়েছে। সরেজমিনে উপজেলার কলম, শেরকোল, হাতিয়ান্দহ, চামারী ও লালোড় ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে ঘুরে দেখা যায় আবহমান গ্রাম বাংলার চিরচেনা পাটচাষিদের কর্মব্যস্ততার সেই চিত্র। উপজেলার শেরকোল পুঠিমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের একটি খালে চাষিরা পানিতে জাগ দেওয়া পাটের আঁশ ছড়ানোর কাজে ব্যস্ত। কোমর পানিতে কাজ করছেন ১৫ থেকে ২০ জন শ্রমিক। এরমধ্যে নারী শ্রমিকের সংখ্যাই বেশি। নারী শ্রমিকরা জানায়, আঁশ ছড়ানো পাট খড়ি দুই ভাগের এক ভাগ নেওয়ার শর্তে তারা এসব কাজ করছেন। 

শেরকোল হাড়োবাড়িয়া গ্রামের কৃষক আতাহার আলী জানান, হাল চাষ, পানি সেচ, সার, বীজ ও শ্রমিক খরচসহ জমি থেকে পাট কেটে ঘরে তোলা পর্যন্ত প্রতি বিঘা খরচ হয়েছে ১৪ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় ফলন পেয়েছেন ৮ থেকে ৯ মণ। বর্তমান বাজারে ২৬০০ থেকে ২৮০০ টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে পাট। এতে খরচ বাদে তেমন লাভ হবে না। সিংড়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ খন্দকার ফরিদ জানান, চলতি অর্থবছরে কৃষি প্রণোদনায় ১হাজার ৯শ’ কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে ১ কেজি করে রবি পাট-১, জাতের পাটবীজ দেওয়া হয়েছিল। এবছর পাটের ফলন ভালো হয়েছে। দামও ভালো পাচ্ছেন কৃষক। তবে দেশ স্বাভাবিক হলে পাটের দাম আরও বাড়বে বলে আশা করছেন তিনি।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS