ভিডিও

বগুড়া সারিয়াকান্দিতে গুচ্ছগ্রাম যমুনায় বিলীন : কমছে বাড়ছে পানি

প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০২৪, ০৮:০৮ রাত
আপডেট: আগস্ট ১৮, ২০২৪, ০১:১৪ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়া সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর ভাঙনে একটি গুচ্ছগ্রাম বিলীন হয়েছে। উঁচু বাঁধে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বেশ কিছু পরিবার। কয়েকদিনে হাজার বিঘা কৃষি জমি যমুনায় গর্ভে বিলীন হয়েছে। গত কয়েক দন ধরে বাড়ছে কমছে যমুনা নদীর পানি।

গত ৫ আগস্ট থেকে উপজেলার হাটশেরপুর ইউনিয়নের হাটশেরপুর গুচ্ছগ্রামে যমুনা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করে। কয়েক দিনের ভাঙনে গুচ্ছগ্রামের অর্ধশত বাড়িসহ প্রায় শতাধিক পরিবারের সবগুলো যমুনায় বিলীন হয়েছে। গুচ্ছগ্রামের ঘর দরজাগুলো খুলে নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবার উঁচু বাধে বা দূরে কোথাও আশ্রয় নিয়ে সেখানে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

হাটশেরপুর গুচ্ছগ্রামের উপর দিয়ে এখন প্রমত্তা যমুনার পানি বহমান হয়েছে। সেখানে এখন অথৈ পানি। কয়েক দিনের নদী ভাঙনের শিকার এ গ্রামের একমাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয়টি এখন অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে। ভাঙন হুমকিতে রয়েছে সুজাতপুর এবং চকরথিনাথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত মুজিব কিল্লা। এছাড়া ভাঙন হুমকিতে রয়েছে সুজাতপুর, বিরামের পাঁচগাছি, সাহানবান্ধা আশ্রয়ন প্রকল্প, হাটশেরপুর এবং পূর্ব বোহাইল গ্রামের শতশত পরিবার।

কথা হয় নদী ভাঙনের শিকার কয়েকজনের সাথে। তারা বেশ কয়েকবার নদী ভাঙনের শিকার হয়ে বসতি গড়ে তুলেছিলেন এই হাটশেরপুর গুচ্ছগ্রামে। নদী ভাঙনের শিকার এ গ্রামের মৃত ইলেম বকস আকন্দের ছেলে তহসিন আলী আকন্দ ২০ বার, মোজাম আকন্দের ছেলে আব্দুল বারি আকন্দ ৬ বার, ফকির প্রামানিকের ছেলে তোফাজ্জল প্রামানিক ২৮ বার, শফিকুলের স্ত্রী ইমিলে বেগম ৭ বার করে নদী ভাঙনের শিকার হয়ে শেষ আশ্রয় নিয়েছিলেন এই গুচ্ছগ্রামে। তাদের এ শেষ আশ্রয়টুকুও কেড়ে নিয়েছে যমুনা। তারা এখন বিভিন্ন এলাকায় নতুন আশ্রয়ের খোঁজে।

এদিকে গত কয়েকদিন ধরেই যমুনা নদীর পানি কখনো কমছে আবার কখনো বাড়ছে। গত ১৫ আগস্ট পানির উচ্চতা ছিল ১৫.২৮ মিটার। ১৬ আগস্ট ১০ সেন্টিমিটার বেড়ে পানির উচ্চতা হয় ১৫.৩৮ মিটার। আজ শনিবার (১৭ আগস্ট) পানি ১ সেন্টিমিটার কমে উচ্চতা হয়েছে ১৫.৩৭ মিটার। সারিয়াকান্দিতে যমুনার পানির বিপৎসীমা ১৬.২৫ মিটার। তাই পানি এখনো বিপৎসীমার ৮৮ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ন কবির বলেন, সারিয়াকান্দিতে যমুনার পানি আরও কয়েকদিন এরকমই উঠানামা করবে। পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করার কোনও তথ্য আপাতত আমাদের কাছে নেই।

হাটশেরপুর গুচ্ছগ্রাম যখন ভেঙে যায় তখন দেশে ব্যাপকভাবে অস্থিতিশীলতা চলমান ছিল। আমাদের পানি উন্নয়ন বোর্ডে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল দুর্বৃত্তরা। অনেক অফিসিয়াল নথিপত্রই পুড়ে গেছে। এসব অস্থিতিশীলতায় ব্যস্ত থাকায় হাটশেরপুর গুচ্ছগ্রাম রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS