স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়া জেলা শ্রমিকদলের কার্যালয় ভাঙচুর, লুটপাটসহ আগুন দিয়ে পুড়ে দেয়ার অভিযোগ করে মামলা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা এবং বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপিসহ ১৪১ জনের নাম উল্লেখ করে প্রায় ৪শ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল বগুড়া জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছামছুল আলম বাদি হয়ে বগুড়া সদর থানায় গত বৃহস্পতিবার রাতে এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় বগুড়া জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শুভাশীষ পোদ্দার লিটন, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও বগুড়া চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ’র সভাপতি মাসুদুর রহমান মিলন, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু, আব্দুল মান্নান আকন্দ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাজেদুর রহমান শাহিন, সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার রহমান শান্ত, স্বেচ্ছাসেবক নেতা আবু জাফর সিদ্দিক রিপন, আদমদীঘি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম খান রাজু, নাসিমুল বারী নাসিম, শাজাহানপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন ছান্নু, বগুড়া পৌর সভার ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিরর আলহাজ¦ শেখসহ ১৪১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং ২৫০ অজ্ঞাত আসামি রয়েছে। সব মিলিয়ে এই মামলায় ৩৯১ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়, কোটা বিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ১৬ জুলাই সন্ধ্যার আগে ৬ টার দিকে আসামিরা সশস্ত্র অবস্থায় শহরের টেম্পল রোডস্থ বগুড়া জেলা শ্রমিক দলের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করে। পরে তারা সেখানে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দিলে তা সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।
এজাহারে বলা হয়েছে ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগের কারণে ওই কার্যালয়ে রাখা চেয়ার-টেবিল ও আসবাবপত্রসহ প্রায় পৌণে ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। মামলার বাদি ছামছুল আলম জানান, সংগঠনের কার্যালয় ভাঙচুর করায় ১৪১ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ২শ থেকে ২৫০ জনকে (অজ্ঞাত) আসামি করা হয়েছে।
বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ জানান, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে শ্রমিক দল নেতা ছামছুল আলম বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।