ভিডিও

নোয়াখালীতে কমছে না পানি, বাড়ছে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা

প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২৪, ০১:৪৮ দুপুর
আপডেট: আগস্ট ২৪, ২০২৪, ০১:৪৮ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

নিউজ ডেস্ক:   সূর্যের দেখা মিললেও নোয়াখালীতে বন্যার পানি কমছেনা। পরিস্থিতিরও উন্নতি নেই। নোয়াখালীতে গতকাল শুক্রবার থেকে বৃষ্টি না হলেও বন্যা পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। পার্শ্ববর্তী জেলা ফেনী থেকে ধেয়ে আসা পানি নোয়াখালীর উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার প্রায় ২০ লাখ বাসিন্দা উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন।

পানি জমে থাকায় কাজকর্ম বন্ধ। উপার্জন নেই বেশ কয়েকদিন। হাতে নেই নগদ টাকা। এ অবস্থায় ঘরে ফিরলেও সেটা স্বস্তির হবে না। এমনটাই বলছে আশ্রয়কেন্দ্রে আসা পানিবন্দিরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নোয়াখালী শহরের অধিকাংশ সড়ক এখনো পানির নীচে তলিয়ে রয়েছে। কোথাও হাঁটু পরিমাণ। আবার কোথাও একটু বেশি। আবার অনেক জায়গায় একটু কম। শহরের বেশির ভাগ বাসাবাড়িতেও এখনো বন্যার পানি রয়েছে। শহরের সড়কগুলোতে রিকশা, অটোরিকশার চলাচলও কম। পানি মাড়িয়ে চলাচল করছেন মানুষ।

মাইজদী হাউজিং এলাকার একরাম হোসেন নামে একজন বলেন, পুরো এলাকায় পানি আর পানি। এ অবস্থা আর কখনো দেখিনি। ঘর থেকে বের হতে পারছি না। না পারছি বাজারে যেতে, না পারছি কাজে বের হতে। ঘরে খাদ্যও তেমন নেই। পুরো শহরে পানি আর পানি। রিকশা চলে না। পানির সাথে যুদ্ধ করে বেশি পথ চলাও সম্ভব না।

মধুসুদনপুর এলাকার আজিজুর রহমান বলেন, পানির জন্য ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছেনা। বাজারও তেমন নেই ঘরে। বাজারে যে যাবো, তার উপায়ও নেই। রিকশা চলে না, মোটর সাইকেল নিয়েও যাওয়া যাচ্ছে না। এলাকার ছোট ছোট দোকানগুলোও বন্ধ।

হাসপাতাল রোডের রোমানা নামে একজন গৃহিনী বলেন, ঘরের ভিতরে পানি। কোনো রকমে পরিবার নিয়ে আছি। টেবিলের উপর চুলা উঠিয়ে রান্না করছি। গ্যাস সিলিন্ডারের গ্যাস শেষ হয়ে আসছে। আশপাশে ছোট ছোট মুদি দোকান বন্ধ। পানি মাড়িয়ে দূরে গিয়ে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য কেনাকাটাও অসম্ভব। পানি না নামলে না খেয়ে থাকতে হবে।

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, জেলার ৮টি উপজেলায় ২০ লাখের বেশি মানুষ বর্তমানে পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। ৫০০টি আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছেন প্রায় ৭৬ হাজার বানভাসি মানুষ। সরকারি বরাদ্দ হিসেবে এ পর্যন্ত ৫০৫ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ২৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। আরো ১২০০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ২০ লাখ টাকা প্রস্তুত রয়েছে। বানভাসিদের জন্য কাজ করছে জেলার বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, রাজনৈতিক দল, স্কাউট-রেডক্রিসেন্টসহ সর্বস্তরের মানুষ। সবাই বন্যার্তদের জন্য কাজ করছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS