নিউজ ডেস্ক: কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় বন্যায় আটকা পড়া মানুষগুলো তীব্র খাবার পানি সংকটে ভুগছেন। ২২ আগস্ট গোমতীর বুড়বুড়িয়া এলাকায় বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় ওই উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা।
আকস্মিক বন্যায় আক্রান্ত এলাকার অনেক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে পারেননি। তাদের অনেকে অবস্থান নিয়েছেন বাড়ির ছাদে।
দুইদিন পানিবন্দি গোলাম মোস্তফা জানান, ত্রাণের কিছু খাবার পেয়েছি। কিন্তু খাবার পানি পাচ্ছি না। খাবার পানি না পাওয়ায় খুব কষ্টে আছি। আমাদের বেঁচে থাকার জন্য খাবারের চেয়ে খাবার পানি বেশি জরুরি হয়ে পড়েছে।
শিকারপুর গ্রামের নাজমুল হাসান বলেন, আমার বাবা ও ভাই তিনদিন ধরে একটি বাড়ির ছাদে অবস্থান নিয়েছেন। ভাই লিটন এক লিটার পানি নিয়ে ছাদে উঠতে পেরেছেন। সেখানে খাবার ও খাবার পানি কিছুই অবশিষ্ট নেই। সর্বশেষ আজ সকালে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। এখন কোনো খোঁজ পাচ্ছি না। তাদের মতো ওই গ্রামের আরও ৪০০-৫০০ মানুষ আটকা পড়ে আছেন।
ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে আসা উদ্ধার কর্মী সোহরাব হোসেন শুভ বলেন, দুইদিন ধরে বুড়িচংয়ের পীরযাত্রাপুর, সাদেকপুর, আনন্দ নগর, ইছাপুর, ষোলনলে ত্রাণ বিতরণ করছি। তবে সেখানে খাবার পানি সংকট রয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।