নলডাঙ্গা (নাটোর) প্রতিনিধি : নাটোরের নলডাঙ্গায় স্কুলছাত্রী মরিয়ম খাতুন লাবনীকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে আলোচিত সিরিয়াল কিলার আনোয়ার হোসেন ওরফে বাবু শেখ ওরফে কালু শেখ (৪৯) ও তার সহযোগী রইচ উদ্দিন সরদারকে (৬২) যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করে ভিকটিমকে দেয়ার আদেশ দেয়া হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ মুহাম্মদ আব্দুর রহিম আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন। এ মামলায় পুলিশের দেয়া চার্জশীটে স্থানীয় ৫ জনের সম্পৃক্ততা না থাকায় তাদের খালাস দেয়া হয়।
দন্ডপ্রাপ্ত আনোয়ার হোসেন ওরফে বাবু শেখ নওগাঁ জেলার রানীনগর উপজেলার হরিসপুর গ্রামের মৃত জাহের আলী শেখের ছেলে ও রইচ উদ্দিন নাটোর জেলার নলডাঙ্গা উপজেলার খাজুরা মোল্লাপাড়া গ্রামের মৃত হাজি সামসুদ্দিনের ছেলে। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- একই এলাকার মো. সোহাগ, মো. রাকিব হোসেন, মো. আলামিন, মো. জিয়ারুল ওরফে জিয়া ও মো. জামাল হোসেন।
নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (বিশেষ পিপি) এড. আনিসুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ২০১৪ সালের ৬ মে রাতে নলডাঙ্গা উপজেলার খাজুরা গ্রামের আব্দুর রশিদের মেয়ে স্কুলছাত্রী মরিয়ম খাতুন লাবনীর ঘরে মই বেয়ে প্রবেশ করে দুর্বৃত্তরা। তারা লাবনিকে ধর্ষণের পর বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
পরদিনে সকালে পরিবারের সদস্যরা তার ঘরে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদি হয়ে নলডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন। এ অবস্থায় তদন্ত শেষে পুলিশ স্থানীয় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেন।
২০১৯ সালের ১৯ অক্টোবর নাটোর রেলস্টেশন থেকে বাবু শেখ আটক হওয়ার পর বেরিয়ে আসে নাটোরের বিভিন্ন স্থানে নারীকে ধর্ষণ ও হত্যার আসল রহস্য। পুলিশের কাছে এসব ঘটনার কথা স্বীকার করেছিলো বাবু শেখ।
পরে পুলিশ তদন্ত শেষে ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দেন। মামলার দীর্ঘ শুনানী ও সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত আজ বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) এই রায় দেন। এ মামলায় পুলিশের দেয়া চার্জশীটে স্থানীয় ৫ জনের সম্পৃক্ততা না থাকায় তাদের খালাস দেয়া হয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।