ভিডিও

পোস্ট অফিস না ময়লার ভাগাড়!

প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০২৪, ০৯:২২ রাত
আপডেট: আগস্ট ৩১, ২০২৪, ০৯:২২ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে সাড়ে ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হাটশ্যামগঞ্জ পোস্ট অফিসটি এখন ময়লার ভাগাড়। জানা যায়, উপজেলার রাণীগঞ্জ বাজারে ১৯২৬ সালে হাটশ্যামগঞ্জ নামে একটি সাব-পোস্ট অফিস স্থাপিত হয়।

সে সময় হক সাহেব নামের এক ব্যক্তি প্রথম পোস্ট মাস্টার হিসেবে বাজারের বিভিন্ন স্থানে ভাড়ায় পোস্ট অফিসটি পরিচালনা করে আসছিল। হক সাহেব মৃত্যুর পর সাইদুল ইসলাম ওরফে সহিদুল ইসলামকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর দীর্ঘদিন তা সিংড়া ইউনিয়ন পরিষদের একটি পরিত্যাক্ত ঘরে পরিচালিত হতে থাকে।

২০০৮ সালের দিকে হাটশ্যামগঞ্জ পোস্ট অফিসটির ভবন নির্মাণের জন্য সাড়ে ৮ লাখ টাকার একটি বরাদ্দ আসে। কিন্তু হাটশ্যামগঞ্জ পোস্ট অফিসের কোনো জমি-জমা না থাকায় বরাদ্দটি ফেরত দেওয়ার উপক্রম হয়।

এসময় বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলার রামপুরটুবঘরিয়া গ্রামের ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান প্রভাষক আব্দুল খালেক মন্ডল বাজার সংলগ্ন রাণীগঞ্জ বাজার টু সুরামসজিদ রাস্তার পাশে ৪ শতক জমি বিনামূল্যে পোস্ট অফিসের নামে রেজিস্ট্রি সম্পাদন করে দেয়।

পোস্ট অফিসের ঘর নির্মাণ হলে সরকারিভাবে অনেক কিছু বরাদ্দ চলে আসে। কিন্তু বরাদ্দ এলেও নির্মিত পোস্ট অফিসটিতে স্থান পায়নি বরাদ্দকৃত মালামাল। এখানে একজন সাব-পোস্ট মাস্টারসহ একজন চিঠিপত্র বিলি কারক থাকলেও ঘরের দরজা কোনো দিন খোলা হয়নি।

ভবণ নির্মাণের পর পোস্ট অফিসের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কোনদিন খোঁজ খবরও নেয়নি এ বেহাল অবস্থার। পোস্ট অফিসটি কার্যক্রম ওই সাব-পোস্ট মাস্টারের নিজ বাড়িতেই সম্পন্ন হচ্ছে। ফলে স্থানীয় লোকজন পরিত্যাক্ত পোস্ট অফিসের চারিদিকে ময়লার ভাগাড় বানিয়ে ফেলেছে। রাস্তার ধারে হওয়ায় এ ময়লা ভাগাড়ের দুর্গন্ধে রাস্তায় চলাচলে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল ইসলামের সাথে পোস্ট অফিসটির বেহালের অবস্থা সম্পর্কে অবগত করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এ বিষয়টি খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS