মোঃ মিনহাজুর রহমান মাহিম
বাংলাদেশের তরুণ সমাজ আগামীর বাংলাদেশকে একটি আলোকিত বাংলাদেশ হিসেবে দেখতে পায়। তরুণরা বর্তমান বাংলাদেশের প্রযুক্তি, সমাজ, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনে সহায়তা করে বাংলাদেশকে ভবিষ্যতে একটি আদর্শ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। বাংলাদেশ একটি সুন্দর দেশ, যেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহাসিক ঐক্য এবং মানবিক বিনয় একত্রিত রয়েছে। তবে, এই দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধি এখনো অপেক্ষমাণ।
এই অপেক্ষার পেছনে তরুণদের প্রশাসনিক দক্ষতা, উদ্যম এবং সমাজের প্রতি দায়িত্বশীলতা অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ। তরুণদের চোখে আগামীর বাংলাদেশ একটি সুন্দর, প্রগতিশীল, অর্থবান, পরিবেশবাদী এবং সমৃদ্ধ দেশ। তরুণদের প্রশাসনিক দক্ষতা, উদ্যম এবং সমাজের প্রতি দায়িত্বশীলতা এই দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য। বাংলাদেশের উন্নতির জন্য তরুণদের অনেক পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
কিছু প্রধান পদক্ষেপ নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ
১। শিক্ষার প্রসারঃ তরুণদের শিক্ষার প্রসার এবং বিশেষভাবে প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের মাধ্যমে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া। নতুন বিষয়গুলোতে তাদের উৎসাহিত করা যাতে তারা নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও প্রয়োগ করতে উৎসাহিত হয়।
২। উদ্যোগ ও উদ্যোগশীলতাঃ তরুণদেরকে নতুন নতুন উদ্যোগ নিতে উৎসাহিত করা উচিত। নতুন নতুন বিষয়ে প্রযুক্তির ব্যবহার সুনিশ্চিত করা উচিত।
৩। উদ্যোগের জন্য সাহায্যঃ তরুণদের নতুন নতুন উদ্যোগের জন্য ব্যবসায়িক, আর্থিক এবং প্রকৌশলগত সাহায্য প্রদান করা উচিত এবং সরকার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উচিত তাদের এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা।
৪। সামাজিক সংশ্লিষ্টতাঃ তরুণদের মধ্যে সমাজের নীতি নির্ধারক হিসেবে আদর্শ থাকা উচিত। তাদেরকে সামাজিক দায়িত্বের প্রতি উৎসাহ ও সমর্থন দেওয়া উচিত।
৫। পরিবেশ সংরক্ষণঃ তরুণদের সচেতনতা ও দায়িত্বের দিক থেকে পরিবেশ সংরক্ষণে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।
৬। দূরশিক্ষা ও কর্মসংস্থানঃ তরুণদের জন্য দূরশিক্ষা সুবিধা প্রদান করা উচিত এবং তাদের উদ্যোগের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা উচিত।
৭। দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোঃ সকল প্রকার দুর্নীতি থেকে নিজেদের রক্ষা করে যারা দুর্নীতি করে তাদের দমনে সকলে একত্রিত হয়ে কাজ করা। বর্তমানে বাংলাদেশের তরুণদের বড় সমস্যা হচ্ছে বেকারত্ব।
বেকারত্ব নিরসনে তরুণদের কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারেঃ
১। কাজের দক্ষতা ও প্রশিক্ষণঃ তরুণদের কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কাজের প্রশিক্ষণ নেওয়া উচিত। তরুণদের উচিত পড়াশোনার পাশাপাশি অন্যান্য যেকোনো কাজে দক্ষ হয়ে উঠা।
২। উদ্যোগশীলতা ও ব্যবসা কর্মকলাঃ তরুণদের উদ্যোগের জন্য সরকার ও বিত্তবানদের সাহায্য প্রদান করা উচিত, যাতে তারা তাদের ব্যবসা কর্মকলা শুরু করতে পারে।
৩। প্রবৃদ্ধি ও প্রতিষ্ঠান সৃষ্টিঃ তরুণদের প্রবৃদ্ধি করার জন্য তাদের জন্য সুযোগ তৈরি করা যেতে পারে যাতে তারা নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করতে পারে।
৪। কর্মসংস্থান ও সরকারের প্রোগ্রামঃ সরকার বা প্রাইভেট সেক্টরের কর্মসংস্থান প্রোগ্রাম প্রদান করে তরুণদের উন্নতি করতে সহযোগিতা করা।
৫। উদ্যোগ সমর্থনঃ তরুণদের উদ্যোগের জন্য সরকার ও ব্যবসায়িক সংস্থার সমর্থন ও অনুমোদন সহজতর করা।
৬। প্রশাসনিক সুবিধা ও তথ্য প্রদানঃ তরুণদের জন্য প্রশাসনিক সুবিধা এবং তথ্য প্রদান করে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে সহযোগিতা করা। এই পদক্ষেপগুলো তরুণদের বেকারত্ব নিরসনে সহায়তা করতে পারে। তবে, এই ধরনের পদক্ষেপে সরকার, প্রাইভেট সেক্টর এবং সমাজের মধ্যে সমন্বয় ও সমর্থন প্রয়োজন। ভবিষ্যতের বাংলাদেশ যেন তরুণদের চোখে প্রত্যক্ষ হয়, সেই জন্য দল, মত, নির্বিশেষে সকলকে একইসাথে কাজ করতে হবে।
লেখকঃ শিক্ষার্থী, বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
mdminhazur44rahman@gmail.com
01631-577649
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।