ভিডিও

বঙ্গভবনের সামনে থমথমে পরিস্থিতি, সতর্ক সেনাবাহিনী-বিজিবি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২৪, ০৯:৫৬ সকাল
আপডেট: অক্টোবর ২৩, ২০২৪, ০৯:৫৭ সকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

রাষ্ট্রপতি মো. শাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে গতরাতে আন্দোলনের পর থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবনে সামনে।বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকাল থেকে ছাত্র-জনতার উপস্থিতি দেখা না গেলেও কড়াকড়ি রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি।

সতর্ক অবস্থানে রয়েছে সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যরা। বঙ্গভবনের সামনের বেষ্টনী ভেঙে যাতে কেউ ভিতরে প্রবেশ করতে না পারে, তাই নতুন করে বসানো হযেছে তার কাটার বেড়া। সকাল থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হলেও এখন পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের তেমন কোন জমায়েত দেখা যায়নি।

এর আগে, রাত সাড়ে ১১টার দিকে বঙ্গভবন এলাকা ছেড়ে যায় আন্দোলনকারীরা। এ সময় বৃহস্পতিবারের মধ্যে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ নিশ্চিতের আশ্বাস দেন হাসনাত-সারজিসসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী। এদিন বিকেল থেকেই রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। একপর্যায়ে ব্যারিকেড ভেঙে বঙ্গভবনে ঢোকার চেষ্টা করেন তারা। এ সময় সেনাবাহিনী ও পুলিশ তাদেরকে বাধা দেয়।

একপর্যায়ে গুলিস্তান আউটার স্টেডিয়ামের পাশ দিয়ে পুলিশের একটি বড় দল বঙ্গভবনের সামনে আসার চেষ্টা করলে বিক্ষোভকারীরা তাদের পথ আটকায়। তাদের তোপের মুখে পুলিশ পিছু হটলে পুলিশের গাড়িতে হামলা চালানো হয়। এতে গাড়িতে থাকা পুলিশ সদস্যরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।এসময় হামলার মুখে কয়েকজন পুলিশ সদস্য অস্ত্র ফেলে চলে যান। পরে আন্দোলনকারীরা অস্ত্রগুলো সেনাবাহিনীর কাছে জমা দেন।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মানবজমিনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ তার কাছে নেই। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এমন মন্তব্য দেশের রাজনীতিতে বেশ উত্তাপ-আলোচনার সৃষ্টি করে। এমন মন্তব্যের জেরে শিক্ষার্থীসহ অনেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ দাবি করেন। একপর্যায়ে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলসহ বিভিন্ন ব্যানারে একাধিক প্লাটফর্ম আন্দোলন শুরু করে। আন্দোলনকারীরা রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের আল্টিমেটামও ঘোষণা করেন।

এদিকে, সোমবার রাতে রাষ্ট্রপতির প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শেখ হাসিনার পদত্যাগের বিষয়টি মীমাংসিত। এ বিষয়ে নতুন করে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি করে অন্তর্র্বতী সরকারকে অস্থিতিশীল কিংবা বিব্রত করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান মো. সাহাবুদ্দিন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS