বাংলাদেশে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যনার্জির এক মন্তব্যে তোলপাড় চলছে। এ নিয়ে দিল্লির দ্বারস্থ হয়েছে ঢাকা। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নোট পাঠিয়ে তার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার এ নিয়ে কথা বলেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী ‘বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের রক্ত ঝরছে’ মর্মে এক্স হ্যান্ডেল-এ (টুইট) যে মন্তব্য করেছেন সে বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তার প্রতি যথাযথ সম্মান রেখে বলতে চাই, তার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার, ঘনিষ্ট ও উষ্ণ। কিন্তু তার (মমতা ব্যানার্জী) এই বক্তব্যে বিভ্রান্তির সুযোগ রয়েছে। আমরা এ বিষয়ে ভারত সরকারকে নোট পাঠিয়েছি।”
এদিকে মমতার মন্তব্য এবং এ নিয়ে পাল্টা প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক সংবাদ মাধ্যম প্রতিবেদন করেছে। ‘অসহায় মানুষ খটখট করলে বাংলার দরজা খোলা’, বাংলাদেশ ইস্যুতে মন্তব্য মমতার শিরোনামে সংবাদ প্রতিদিন-এর রিপোর্টে বলা হয়, সংরক্ষণ ইস্যুতে ছাত্র আন্দোলনে জ্বলছে প্রতিবেশী বাংলাদেশ। গত তিন-চারদিন ধরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সেখানে। জারি কারফিউ, বন্ধ ইন্টারনেট, পথেঘাটে সাঁজোয়া গাড়ির টহল। প্রতিবেশী দেশের অশান্ত পরিস্থিতিতে সতর্ক নয়াদিল্লিও।
এমনিতে মমতার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মমতার মন্তব্যে একেবারেই খুশি নয় কেন্দ্রীয় সরকার। স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয় যে সেই বিষয় নিয়ে মন্তব্য করার কোনও এখতিয়ারই নেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের।
ওই সূত্রের বরাত দিয়ে পিটিআই আরও জানায়, ‘এই বিষয়গুলো সাধারণত কেন্দ্রীয় সরকার সামলায়। এই ব্যাপারে রাজ্য সরকারের তো কোনও এখতিয়ারই নেই। এসব মন্তব্য (মমতা যে কথা বলেছেন) সম্পূর্ণভাবে ভুল।’ কেন্দ্রীয় সরকারের সেই সূত্রের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মমতা কিছু বলেননি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকেও কিছু জানানো হয়নি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।