রাজধানীর যেসব থানায় হামলা হয়নি বা কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেসব থানার কার্যক্রম ফের শুরু হয়েছে।
আজ শুক্রবার (৯ আগস্ট) দুপুরে থানাগুলোতে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়। তবে, এদিন সেবাগ্রহীতার সংখ্যা কম ছিল বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
জানা গেছে, রমনা, কলাবাগান, ধানমন্ডি, হাজারীবাগ, কোতোয়ালি, চকবাজার, সুত্রাপুর, ডেমরা, গেন্ডারিয়া, মতিঝিল, সবুজবাগ, শাহজাহানপুর, শেরেবাংলা নগর, হাতিরঝিল, শাহ আলী, দারুস সালাম, রূপনগর, ক্যান্টনমেন্ট, বনানী, উত্তরা পশ্চিম, উত্তরখান ও বিমানবন্দর থানায় কার্যক্রম ফের শুরু হয়েছে।
থানাগুলোতে দুপুর ১২টার পর পর সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় কার্যক্রম শুরু হয়। এদিন বেশিরভাগ থানায় এক থেকে দুটি করে জিডি হয়েছে। দিন দিন সেবাগ্রহীতার সংখ্যা বাড়বে বলে মনে করছেন দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা।
যেসব থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে, সেসব থানায় পুলিশ সদস্যরা এলেও সেখানে কাজ করার মতো অবস্থা নেই। এ কারণে ডিএমপির ২১ থানার কার্যক্রম কবে নাগাদ শুরু হতে পারে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউ।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, দ্রুতই থানাগুলো সংস্কার করে স্বাভাবিক কার্যক্রম নিশ্চিত করা হবে।
গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং তার দেশত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে থানায় হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। অনেক থানায় ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ সময় বেশকিছু পুলিশ সদস্যকে হত্যা করা হয়।
নিরাপত্তাহীনতার কারণে অনেক পুলিশ সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আত্মগোপন করেন। ভেঙে পড়ে চেইন অব কমান্ড। কর্মবিরতির ঘোষণা দেয় পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।
ফলে, দেশের বেশিরভাগ থানার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। পরে থানাগুলোর নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীকে। এখন সেনাবাহিনী ও বিজিবির নিরাপত্তা সহায়তায় বিভিন্ন থানায় ফের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।