ভিডিও

রংপুর কৃষি অঞ্চলের চাষিরা এবার পাট চাষ করে লাভবান

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪, ০৮:১৪ রাত
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪, ০৮:১৪ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

রংপুর প্রতিনিধি : রংপুর কৃষি অঞ্চলের চাষিরা এবার পাট চাষ করে বেশ লাভবান হয়েছে। জেলার বিভিন্ন হাট বাজারে পাট বিক্রি করে উচ্ছ্বসিত তারা। রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, চলতি মৌসুমে এ অঞ্চলের রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলায় প্রায় ৫৪ হাজার হেক্টর জমিতে পাটের চাষ করা হয়েছে। যার উৎপাদন ধরা হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৬৬ হাজার ৫৪ বেল পাট।

চলতি মৌসুমে রংপুর জেলায় পাট চাষ করা হয়েছে ৯ হাজার ৫৩০ হেক্টর জমিতে। গত বছর পাট চাষ হয়েছিল ৯ হাজার ৭৬৮ হেক্টর আর ২০২২ সালে সেটি ছিল ১০ হাজার ৫৮ হেক্টরে। অর্থাৎ তিন বছরের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, প্রতিবছর দুই থেকে ৪শ’ হেক্টর জমিতে পাটের চাষ কম হচ্ছে।

কৃষি কর্মকর্তারা জানান, এক হেক্টর জমিতে কমপক্ষে ৫৫ থেকে ৫৮ মণ পাট উৎপাদন করা যায়। বর্তমানে এ অঞ্চলের বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রতি মণ পাট বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৭শ’ থেকে ৩ হাজার টাকায়। যা গত বছর ছিল ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা।

অপরদিকে প্রতি মণ পাটকাঠি বিক্রি হচ্ছে ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকায়। রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার পাট চাষি পরিমল কান্ত রায় জানান, এবার তিনি ২ একর জমিতে পাট চাষ করে প্রায় ৪৫ মণ ফলন পেয়েছেন। এটি বিক্রি থেকে তিনি প্রায় ১ লাখ ৩১ হাজার টাকা আয় করেছেন। সেই সাথে ৭০ মণ পাটকাঠি বিক্রি করার আশা করছেন। সেখান থেকে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা আয় করবেন বলে আশা করছেন।

জেলার বুড়িরহাট হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক, কৃষিবিদ ড. মো. আবু সায়েম জানান, পাট চাষ করে চাষিরা যেমন ভালো লাভবান হচ্ছেন, তেমনি আগামী মৌসুমেও ফসল চাষে উৎসাহ পাচ্ছেন। এ ব্যাপারে কৃষকদের প্রয়োজনীয় সহায়তা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এদিকে এ অঞ্চলের চাষিরা বিভিন্ন জলাশয়ে সনাতন পদ্ধতিতে ফিতা ছিঁড়ে না দিয়ে পাট কাটাচ্ছেন।

কৃষিবিদ মো. এনামুল হক জানান, কৃষকদের অনীহার কারণে তাদের মধ্যে প্রযুক্তি এখনও চালু হয়নি। সনাতন পদ্ধতির তুলনায় ফিতা রেটিং পদ্ধতিতে পানির পরিমাণ কম লাগে। রংপুর ডিএই অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ ওবায়দুর রহমান বলেন,  অঞ্চলের ৫ জেলার প্রতি বছর পাটের চাষ কম হচ্ছে।

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এ অঞ্চলে সময় মতো বৃষ্টিপাত হয় না। কৃষক আধুনিক পদ্ধতিতে ফিতা ছিঁড়ে না দিয়ে পাট কাটাচ্ছেন। কৃষক বীজ ঠিক সময়  পায় না। সরকারি প্রণোদনা খুবই কম। তিনি বলেন, সরকারিভাবে আরও গুরুত্ব দেয়া হলে আগামীতে সোনালী আঁশে কৃষক সুফল পাবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS