ভিডিও

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে অন্তঃসত্ত্বা তরুণীকে হারপিক খাইয়ে প্রাণনাশের চেষ্টা, আটক ২

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪, ১০:২০ রাত
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪, ১০:২০ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

দেবীগঞ্জ (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি : পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে বিয়ের দাবিতে অনশনে থাকা এক অন্তঃসত্ত্বা তরুণীকে হারপিক খাইয়ে প্রাণনাশের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।

গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় উপজেলার টেপ্রীগঞ্জ ইউনিয়নের কামাতপাড়া এলাকা থেকে ভুক্তভোগী ঐ তরুণীকে উদ্ধার করে সেনাবাহিনী। এসময় অভিযুক্ত দুইজনকে আটক করা হয়। ভুক্তভোগী ওই তরুণীর নাম ছালমা (ছদ্ম নাম)। সম্প্রতি বরিশাল থেকে বিয়ের দাবিতে দেবীগঞ্জে আসেন তিনি। অভিযুক্ত প্রেমিকের নাম আলামিন। সে উপজেলার টেপ্রীগঞ্জ ইউনিয়নের কামাতপাড়া এলাকার রইসুল ইসলামের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েক সপ্তাহ থেকে ছালমা বিয়ের দাবি নিয়ে আলামিনের বাড়িতে অনশন শুরু করেন। দীর্ঘদিন থেকে আলামিনের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক। প্রেমের সম্পর্কের জেরে তিন মাসের অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়েন তরুণী। এরপর থেকে আলামিন যোগাযোগ কমিয়ে দেয় ওই তরুণীর সাথে। বাধ্য হয়ে বরিশাল থেকে দেবীগঞ্জে আসেন ছালমা।

গতকাল সোমবার আলামিনের ছোট ভাই জিল্লুর রহমান জোর করে ছালমাকে হারপিক খাওয়ায়। এই সময় তরুণী চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে কাউকে বাসায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। উপায়ন্ত না পেয়ে স্থানীয়রা সেনাক্যাম্পে খবর দেয়। পরে সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হান্নান এর নেতৃত্বে একটি টিম আয়েশাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।

অন্যদিকে বিয়ের দাবিতে আসা তরুণীর ২০১৩ সালে একই এলাকার নাছির উদ্দিন নামে এক ব্যক্তির সাথে বিয়ে হয়। সে পরিবারে তাদের ৬ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। ছালমার স্বামী নাছির মুঠোফোনে জানান, তাদের এখনও বিয়ে বিচ্ছেদ হয়নি। ছালমা তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছেন বলে দাবি করলেও এখনও তা হাতে পায়নি নাছির।

এদিকে গত সোমবার রাতেই ভুক্তভোগী ছাশা প্রেমিক আলমিনকে প্রধান আসামি করে চারজনের নামে হত্যা চেষ্টা ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। হত্যা চেষ্টা মামলায় জিল্লুর রহমান ও পারুল আক্তার নামে দুইজনকে আটক করা হয়েছে।

এবিষয়ে দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোয়েল রানা বলেন, ছালমা নামে এক তরুণীকে হারপিক খাইয়ে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। বর্তমানে সেই তরুণী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। হত্যা চেষ্টা মামলায় দু’জনকে আটক করা হয়েছে এবং আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS